রুকুনুজ্জামান, পার্বতীপুর
বাংলাদেশের পার্বতীপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা, যা দেশের সবচেয়ে বড় এবং প্রধান রেল ইঞ্জিন মেরামত কেন্দ্র, বর্তমানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় বাজেট ও জনবল না থাকা সত্ত্বেও, এই কারখানার কর্মীরা অসাধারণ দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগে ২৩টি রেল ইঞ্জিনের জেনারেল ওভারহোলিং বা ভারি মেরামত সম্পন্ন করেছে। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে আরও ৫টি ইঞ্জিনের মেরামত কার্যক্রম সম্পন্নের অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই কারখানার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১টি রেল ইঞ্জিনের ভারি মেরামত। তবে, কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার কারণে, অনেক পুরোনো ও অকেজো ইঞ্জিনও নতুন করে চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হয়েছে। দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থায় ব্যবহৃত প্রায় ২৯৪টি ইঞ্জিনের মধ্যে, ১৩০টির বয়স ৬ বছরের বেশি চলে গেছে। এর মধ্যে ৮টি মিটারগেজ রেল ইঞ্জিন এখনো চালু রয়েছে।
প্রতিটি ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল সাধারণত ২০ বছর হলেও, পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনগুলো দীর্ঘদিন ধরে জেনারেল ওভারহোলিং করে সচল রাখা হচ্ছে। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে সংগ্রহ করতে হয়, যেখানে বাজেট ও জনবল সংকট বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯২ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে পার্বতীপুরে এই কেন্দ্রীয় কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে দেশের রেল যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ চালু রয়েছে।
কারখানার প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুল ইসলাম জানান, প্রয়োজনীয় বাজেট ও জনবল না থাকলেও, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তারা প্রতিমাসে তিনটি ইঞ্জিনের আউটটার্ন করতে সক্ষম। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, পর্যাপ্ত বাজেট ও জনবল পেলে এই সংখ্যা প্রতি মাসে তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব হবে, যা দেশের রেল ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
আর/দৈনিক দেশতথ্য