মেহেরপুর প্রতিনিধি :মেহেরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা বুড়িপোতার গ্রামের এক তরুণ হাসান। তার স্বপ্নের শুরু হয়েছিল কান্নাকাটি করে পাওয়া মাত্র একটি ছাগল দিয়ে। আজ তার খামারে শতাধিক ছাগল। ঈদে বিক্রি হয় লাখ টাকার পশু।
হাসান এখন গ্রামের গর্ব, তরুণদের অনুপ্রেরণা।
ইন্টারমিডিয়েট পড়াকালীন শুরু হয় ছাগল পালনের যাত্রা। পারিবারিক বাধা, কটাক্ষ, অভাব—সবকিছু পেছনে ফেলে অদম্য ইচ্ছায় এগিয়ে যান হাসান। চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেই গড়ে তুলেছেন স্বাবলম্বী জীবনের পথ।
হাসান বলেন, ছোটবেলায় নানীর কাছ থেকে কান্না করে একটি ছাগল পেয়েছিলাম। তখন ভাবিনি ওটাই হবে আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। । বেকার যুবকদের জন্য পরামর্শ দেন চাকরির পেছনে না ছুটে ছাগল পালনের মতো ছোট উদ্যোগ থেকেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। শুধু চাই সাহস ও ধৈর্য।
হাসানের বাবা মিনারুল ইসলাম বলেন, শুরুতে ছাগল পালা নিয়ে আমরা সন্দিহান ছিলাম। ভাবতাম সময় নষ্ট করছে। কিন্তু এখন বুঝি, ছেলের এই খামারই আমাদের পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস।
মা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ছেলেটার ছাগল পালার শখ ছিল ছোট থেকেই। একদিন আমার মার কাছ থেকে একটি ছাগল এনে দিই ওকে। সেই একটি ছাগল থেকেই আজ শতাধিক ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। হাসান আমাদের গর্ব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার ব্যানার্জি বলেন, আমরা হাসানকে নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসা সহায়তা দিই। এমন তরুণ উদ্যোক্তারাই আমাদের সাফল্য।

Discussion about this post