শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
জাতীয় পরিচয় পত্রে (এনআইডি) বয়স কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি সার্টিফিকেট দিয়ে আয়া পদে চাকরি নেয় সেলিনা আক্তার নামে এক প্রার্থী।
এ ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তদন্তের দাবি করেছে অভিভাবক গণ।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের সরকার বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেলিনা আক্তার ওই প্রতিষ্ঠানে ১৪ মে ২০২২ তারিখে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়।
তিনি প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামানের আপন ছোট বোন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত সেলিনার প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ ইং ( এনআইডি নং ৪০১৭৭৪২৮৬৬৮৪৩) এবং চাকরিরত প্রতিষ্ঠানে আবেদকৃত জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯৯০ ইং ( এনআইডি নং ৭৩৩৬৭৩৪৫৩৩)। এই সেলিনা আক্তার ১৯৯৮ইং সালে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা বালিকা বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান শাখায় ফাস্ট ডিভিশন পেয়ে এসএসসি পাশ করে। সেখানে তার জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮২ রয়েছে। অথচ ২০০৮ সালে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার গাজীরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও ভকেশনাল হতে অষ্টম শ্রেণী পাশের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে আয়া পদে চাকরিতে আবেদন করেছিল। একই প্রতিষ্ঠানে ভাই প্রধান শিক্ষক বোন আয়া ফলে প্রতিষ্ঠানে আয়া পদে সেলিনা কাজ করেনা। সপ্তাহে এক দিন গিয়ে স্বাক্ষর করে বেতন ভাতা তুলে আসছে। সেলিনার আক্তারের ইনডেক্স নম্বর এন ৫৬৮২৭৫৬৫ । প্রধান শিক্ষককের ভয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্য সহকারি শিক্ষক গণ আয়া হিসেবে কাজ করাতে সংকোচ বোধ করেন। আয়ার বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদ কর্মী পরিচয় পেয়ে বিয়টি এড়িয়ে যেতে ফোন কেটে দেয়। পুনরায় ফোন আর ধরেননি।
অভিযোগের পরে জাতীয় পরিচয় পত্রের অসংগতির বিষয়ে এ প্রতিবেদকের কথা হয় সেলিনা আক্তারের সাথে। জানতে চাওয়া হয় তার জাতীয় পরিচয়পত্রে গড় মিলের বিষয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ গড় মিলের ব্যাপারে কিছুই জানেনা বলে জানান।