নিজস্ব প্রতিবেদক : পয়লা কার্তিক, মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসের স্বরনোৎসব পালন করা হচ্ছে না। এ পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনায় ৭৭২ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন এবং এখনো কিছু মানুষ করোনা আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। এ অবস্থায় কুষ্টিয়ায় করোনার চিত্র ও এখানো গণজমায়েতের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি নিষেধ আরোপ থাকায় এ বছরও লালন স্ম^রণোৎসব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। মঙ্গলবার দুপুর একটায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম তাঁর সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং-এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সিরাজুল ইসলাম, এনডিসি মো: সবুজ হাসান, জেলা প্রশাসকের ষ্টাফ অফিসার আহমেদ সাদাত, লালন একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য তাইজাল আলী খান ও এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম।
সাধু, বাউল ও ভক্তরা এ অনুষ্ঠান ঘিরে আগেই অবস্থান নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় সাঁইজির ধামে। প্রতিবারের মত দিনক্ষণ ঠিক রেখে এবারও কিছু লালন ভক্তরা চলে এসেছিলেন আখড়াবাড়িতে। ১৩১ বছর আগে, ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাত্মিক এই সাধকের মৃত্যুর পর প্রথমে ছেঁউড়িয়ার আখড়া কমিটি ও পরে লালন একাডেমির উদ্যোগে এই লালন স্ম^রনোৎসব হয়ে আসছে। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে গত বছর থেকে এতো দিনের সেই রেওয়াজ ভাঙতে হয়।

Discussion about this post