কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপি’র ডিও লেটারে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষিত, যোগ্য ব্যক্তি থাকা সত্বেও যারা বিদ্যালয়ের দারোয়ান হওয়ার যোগ্যতা রাখেনা তাদের করা হয়েছে সভাপতি। দৌলতপুর সদরে রিফাইতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শাহিন নামের জনৈকে এক ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়। ওই ব্যক্তির শিক্ষাগত ও সামাজিক অবস্থান না থাকার সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একই অভিযোগ বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। এখানে যার বাড়ি থেকে র্যাব বোমা উদ্ধার করছিলো, রোড ডাকাতি, চুরিসহ ১৫/১৬ মামলার বিদেশে পলাতক আসামী, আওয়ামীলীগ বিরোধী পরিবারের সন্তান, বর্তমানে মাদকের গডফাদার, কুখ্যাত ব্যক্তিকে এমপি’র ডিও লেটারে সভাপতি করায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বির্তকিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের বিদ্যালয়ের সভাপতি করে মুর্খের শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পায়তারা চলছে। জনমনে প্রশ্ন যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে এমপি’র এতো আতংক কেন? কিসের বিনিময়ে এসব অযোগ্য ব্যক্তিরা সভাপতি হচ্ছে? জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সরকারের সময় পুলিশ এনে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে ধরিয়ে দিয়ে, দৌলতপুর থানায় বটগাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন করাতো সেই কুখ্যাত থানার দালাল এখন দৌলতপুর এমপি’র প্রতিনিধি হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমপি’র দয়ায় জায়গা করে নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে। এই সকল হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারীরা দৌলতপুরের স্থানীয় সাংসদের প্রতিনিধি হওয়ায় সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে তাদের নেতৃত্বে ২/১টি বাদে সব ইউপিতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। প্রকাশ্যে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নজির সৃষ্টি করেছেন। দৌলতপুরে আওয়ামীলীগের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের এখন দুর্দিন চলছে। চলছে দুর্বিসহ জীবন। বিএনপি ও চিহ্নিত শিবির ক্যাডাররা এখন নিয়ন্ত্রন করছে দৌলতপুর। ক’দিন আগে আওয়ামীলীগের কমিটিতেও জায়গা করে নিয়েছে কেউ কেউ। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে দৌলতপুরের প্রবীন এবং পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বহিস্কার, জামাই শ্বশুরের রাজনীতি বন্ধের দাবী করেছে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
আর/দৈনিক দেশতথ্য//১২ মে-২০২২//

Discussion about this post