Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 8:45 am

এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার

এসএসসি পরীক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার। মূলহোতা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। দুই ধর্ষক নাবিল কাউন্টারের কর্মচারি র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে জেলহাজতে। এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না হতভাগি কিশোরীর। হাসপাতালের বেডে যাকে দেখে আতৎকে উঠে। শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত মূলহোতা হাফিজুরকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নতুন জামা কিনে দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশি ভগ্নিপতি লালমনিরহাটে নিয়ে এসে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে ঢাকার একটি নৈশকোচে তুলে দেয়। ঘটনাটি বুধবার রাতে।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, এই সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায়  লালমনিরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম পাড়া (দালালটারী) এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে সামসুল হোসেন বাবলু (৫০) ও একই এলাকার আবুল হোসেন সরকারের ছেলে তসলিম উদ্দিন সরকার (৫১) কে আটক করা হয়। এই দুই জন নাবিল কাউন্টারের কর্মচারি। তারা মেয়েটিকে কাউন্টার হতে ফুঁসলিয়ে এনে বাড়িতে রেখে রাতভোর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরীটি জেলার  হাতীবান্ধা উপজেলার শাহ গরীবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার্থী।

তার মা রশিদা বেগমজ জানান, তার স্বামী জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের জয়নুল হোসেন পরিবারের সদস্যদের ঠিকমত ভরনপোষন দিতে পারেন না। রশিদা বেগম সন্তানদের নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে বসবাস করে আসছে। গ্রামে শ্রমিকের কাজ কখন বাড়িতে গৃহস্থলি  কাজ তার জীবিকা। অনেক কষ্ট করে সন্তানদের স্কুলে পাঠান।  প্রতিবেশী ভগ্নিপতি হাফিজুল ইসলাম মেয়েটিকে নতুন জামা কিনে দেয়ার কথা বলে বাড়ি হতে নিয়ে আসে। এই সংবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতা প্রতিবেশী বোনের স্বামী হাফিজুল। সে এখনো আটক হয়নি।

লালমনিরহাট সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামী মেয়েটি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে ফরিদপুরের এক নারী পাচারকারী সদস্যের নিকট নাবিল গাড়ীতে ঢাকায় পাঠানোর কথাও স্বীকার করেছে। ওই ব্যক্তি তাকে ঢাকার গাবতলীতে নেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে যায়। তাকে র‌্যাব ঢাকা থেকে উদ্ধার করে।  অসুস্থ অবস্থা দেখে মেডিসিন ও নিউরোলজী চিকিৎসককে দেখান। বর্তমানে কিশোরীটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধান রয়েছে।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ১৬,২০২২//