কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষার্থে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ১২০জন মৎস্যজীবীদের মাঝে ১২০টি বকনা বাছুর বিতরণের কথা থাকলেও অর্ধশতাধিক মৎস্যজীবীকে খালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মৎস্যজীবীদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজী নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই বকনা বাছুর সরবরাহ করেছিল।
জানা গেছে, মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোটালীপাড়া উপজেলার ১২০জন মৎস্যজীবীদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরনের কথা ছিল। কিন্তু ১২০টি বকনা বাছুরের মধ্যে ৬৫টি বাছুরে ওজন ৮০ কেজির নিচে হওয়ায় সেগুলোকে বিতরণ না করে ফেরত দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
বকনা বাছুর নিতে আসা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৎস্যজীবী আব্দুর রফ হাওলাদার বলেন, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে আমাকে একটি বকনা বাছুর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বকনা বাছুরের ওজন ৮০ কেজির নিচে হওয়ায় তারা আমাকে বকনা বাছুর দেয়নি। নতুন করে বকনা বাছুর আসার পরে আমাকে দিবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।
স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে এ উপজেলার ১২০জন মৎস্যজীবীর মাঝে বিতরণের জন্য ১২০টি বকনা বাছুর এনেছিলাম। ৬৫টি বকনা বাছুরের ওজন ৮০ কেজির নিচে হওয়ায় সেগুলো বিতরণ করা হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যে ৮০ কেজি উপরে এই ৬৫টি বকনা বাছুর এনে বিতরণ করবো।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, এ উপজেলার দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষার্থে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ১২০জন মৎস্যজীবীদের মাঝে ৮০ কেজি ওজনের ১২০টি বকনা বাছুর বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু ৬৫টি বকনা বাছুর ওজনে কম হওয়ায় সেগুলোকে বিতরণ না করে ফেরত দেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ডিজিটাল টেকনোলজী নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই বকনা বাছুর সরবরাহ করেছিল। কয়েকদিনের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান নতুন করে ৬৫টি বকনা বাছুর সরবরাহ করবে। এই বকনা বাছুর আসার পরে বাকী মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

Discussion about this post