মেহেরপুর প্রতিনিধি : দেড়শ’ মুরগি বিক্রি করে ঈদের নতুন জামা কাপড় কেনা কাটা করা ছাড়াও স্কুলের বেতন দেয়ার কথা ছিল। আর বাকি টাকা দিয়ে আবারো নতুন করে মুরগির বাচ্চা কিনে ফার্মটাকে চালুর প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু সেটি হলো না। আমাদের পরিবারে সকলেরই ঈদের আনন্দ শেষ।
ঘুরে দাঁড়াতেও অন্ততঃ ছয় মাস সময় লাগবে। অশ্রুসিক্ত নয়নে এমনি ভাবে আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন স্কুল ছাত্র হৃদয়। সে মেহেরপুরের গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের টেপি পাড়ার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে পূর্ব শত্রতার জেরে ফার্মের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেড় শতাধিক মুরগি পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
হৃদয়ের বাবা হামিদুল ইসলাম জানান, নিজে ও ছেলে রিদয় মিলে বাড়ির ছাদে একটা মুরগির ফার্ম করে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসারের খরচাদি ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দেয়া হতো। বাড়ির প্রাচিরের সাথেই রয়েছে ফার্মের বৈদ্যুতিক সংযোগ। দৃর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে সেই বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। সেই সাথে কোন গ্যাস ছেড়ে দেয় ফার্মে। ফলে গরমে সব মুরগি ক্রমান্বয়ে মারা যায়। মধ্যরাত থেকে মরতে থাকে মুরগি। মৃতপ্রায় কিছু মুরগি প্রতিবেশিদেরকে দেয়া হয়েছে। বাকি মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হৃদয়ের মা বেলি খাতুন জানান, অন্যান্য দিনের মতো মধ্যরাত পর্যন্ত ছাদে মুরগির ফার্মে কাজ করা হয়েছে। তার পর ঘরে আসার কিছুক্ষণ পর মুরগির সাড়া শব্দ না পেয়ে গিয়ে মুরগি মরতে দেখা যায়। কারো সাথে শত্রুতা নেই, তবে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে একজনের সাথে। তিনিই এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ৩০ মার্চ ২০২৪