বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস, হার্টডিজিজ, উচ্চরক্ত চাপ, ক্যানসার, মেদভূড়ি জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। এইসব রোগের লাগাম টেনে ধরার সাধ্য ঔষধের নেই। কারন রোগগুলো হলো আধুনিক খাদ্য অভ্যাসের কূফল। লাইফ স্টাইল, খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করলেই এসব রোগ চিরতরে সারানো সম্ভব।
অনেকে মনে করেন শুধু সুগার লেভেল কমলে ডায়াবেটিস ভালো হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ডায়াবেটিস মূলত মেটাবলিক ডিজঅর্ডার থেকে জন্মে। যেমন প্যানক্রিয়াসের অসুস্থতার কারণে এটা বেশি হয়।
অতিরিক্ত এসিডিক খাবার, তেল ভাজা খাদ্য বেশি করে খাওয়া ও অলস জীবন যাপনের কারণে বিটা কোষের উপর পামিটিক এসিডের আস্তরণ পড়ে। এরপর বিটা কোষ ইনসুলিন তৈরিতে অক্ষম হয়ে যায়। এতে সুগার লেভেল রক্তস্রোতে বেড়ে যায়। এলোপ্যাথিক ঔষধ গুলো শুধু সুগার লেভেল কমায়। কিন্তু বিটা কোষ কে সুস্থ করতে পারেনা। তাই ঔষধ সারা জীবন চলতে থাকে। এতে সুগার লেভেল কমিয়ে রাখা গেলেও শারীরিক জটিলতা কমানো যায়না।
ডায়াবেটিস চিকিৎসা পদ্ধতির পরতে পরতে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। এই রোগ নিয়ে রোগীরা যখন ডাক্তারের চেম্বারে যায় তখন বেশির ভাগ ডাক্তার মাইন্ড সেটআপ করে দেয়। বলে এই রোগ কখনও ভাল হয় না। সারা জীবন ওষুধ খেতে হবে। তাদের মন্তব্য সঠিক বলে মেনে নেয় অধিকাংশ রোগী। কারণ কেমিক্যাল জাতীয় ঔষধ গুলো খাওয়ার পর সাময়িকভাবে সুগার লেভেল কমলেও কিন্তু রোগ সারে না।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এই রোগ চিরতরে সারানো সম্ভব। প্রাণায়াম যোগের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে এই রোগ নির্মূল করা যায়। মনে রাখতে হবে “প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ ডাক্তার। প্রাকৃতিক খাদ্যই শ্রেষ্ঠ ঔষধ”। বিজ্ঞানী রবার্ট ইয়ং, মাইকেল মুরে , লাইনাস পলিং সহ অনেকই ডায়াবেটিস নির্মূল এর গ্যারান্টি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের যেসকল ডায়াবেটিস রোগী কেমিক্যাল জাতীয় ঔষধ কম খায়, নিয়মিত যোগব্যায়াম, খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, প্রাণায়াম যোগ, মেডিটেশন করেন তাদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবন পেয়েছেন।
যারা যোগ ব্যায়াম করতে ভয় পান তারা নিয়মিত 40 মিনিট হাঁটবেন। দৈনিক 200 গ্রাম সবজি, 200 গ্রাম মৌসুমী ফল, এক বাটি ডাল, 100 গ্রাম পাতা বহুল শাক, 90 গ্রাম আমিষ, 250 গ্রাম কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত আলু রুটি খাবেন।
যারা ইনসুলিন অথবা ট্যাবলেট খান হঠাৎ করে ঔষধ বন্ধ করবেন না। কারণ আপনার শরীরের সাথে ওইসব ওষুধ এডজাস্ট হয়ে গেছে। তাই ধীরে ধীরে ঔষধ কমাবেন। দুই বেলা বারবারিন মাশরুমের মিশ্রণ খাবেন। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করবেন। ব্যায়াম ও মেডিটেশনে অভ্যস্ত হবেন। এভাবে কিছু দিন চেষ্টা করলেই ডায়াবেটিসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
কেমিক্যাল জাতীয় ওষুধ শুধুমাত্র সুগার লেভেল সাময়িকভাবে কমায়। কিন্তু কখনও প্যানক্রিয়াসের বিটা কোষ সুস্থ করে না। বরং রোগের তীব্রতা দিন দিন বেড়ে যায়। সুগার লেভেল কম থাকলেও শারীরিক জটিলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, থাইরয়েড, মাইগ্রেন ইত্যাদি তে আক্রান্ত রোগীরা উপরের পরামর্শ গুলো মেনে চলবেন। নিজেকে ও পরিবার কে জটিল সমস্যা থেকে মুক্ত রাখবেন।
এসব জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং বিস্তারিত জানতে কল দিতে পারেন।
ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা।
01712276753
দৈনিক দেশতথ্যের ভেড়ামারা প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদন।

Discussion about this post