সিলেট অফিস: সিলেটের ওসমানীনগরে পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের চেঙ্গের খাল নামক স্থানে এপার থেকে ওপার পর্যন্ত জাল দিয়ে অবৈধ ভাবে বাধ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে।
জানাযায় সাদিপুর চাঁনপুর ও মোবারকপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির প্রায় দেড়শতাধিক জেলে দীর্ঘদিন থেকে কাটার মার খাল এবং সাদিখালের তীরবর্তী মৎস্যজীবী পরিবারের প্রায় হাজার খানেক মৎস্যজীবী এই খাল থেকেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
বালাগঞ্জ এর কুশিয়ারা নদী থেকে অনেক হাওরের উপর দিয়ে এসে ওসমানীনগরে চেঙ্গের খাল, কাটার মার খাল, সাদি খাল, লোম, কালী নদী, আটঘর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর সাথে আবার মিলিত হয়ে এদিক দিয়েই সব মাছ চলাচল করে।
সম্প্রতি চেঙ্গের খালের ইজারাদার শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতি এই প্রবাহিত পথে খালের এপার থেকে ওপার পর্যন্ত ছোট্ট ছিদ্র ওয়ালা জাল দিয়ে, বাশ পুতে সেখানে বাধ দিয়ে মাছ চলাচল বন্ধ করে দেয়ার ফলে অন্য পাশে পর্যাপ্ত মাছ না থাকায় দেড়শতাধিক পরিবারের প্রায় হাজার খানেক লোক কর্মহীন হয়ে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এই বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস জীবী সুধাংশু দাস বলেন এইসময় মাছ নামার মৌসুম, কিন্তু বাধ দিয়ে মাছ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন শাপলা মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি এবাদ মিয়া ও তার দল।
আরেক মৎস্যজীবী অঞ্জন দাস বলেন এই খালে আমরা দীর্ঘদিন থেকে মাছধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি কিন্তু চেঙ্গের খালের ইজারাদার এবাদ মিয়া ও তার দল জালদিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের আইন অমান্য করে অবৈধ বাধ দিয়ে মাছ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর গত ২৮/১০/২০২৪ ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত ইজারাদার এবাদ মিয়া সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এই খালের একটি অংশ আমাদের সমিতি সরকারি নিয়মের বিধি মোতাবেক ইজারা এনেছি। জাল দিয়ে বাধ দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে করে তিনি বলেন আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি, যদি প্রশাসন মনে করে এই বাধটি বৈধ নয় তাহলে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাধটি অপসারণ করে নিব।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এহ/05/11/24/ দেশ তথ্য

Discussion about this post