Print Date & Time : 2 July 2025 Wednesday 8:22 pm

কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ

কালুরঘাট সেতু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে বেশি না হলেও প্রতিদিন একটি ট্রেন চলাচল করবে। সেতুটি মেরামতের পর ছোট মিটারগেজ ইঞ্জিন দিয়ে চালানো হবে ট্রেন। মেরামতের ব্যাপারে বুয়েটের সাথে খুব শীঘ্রই রেলওয়ের চুক্তি হবে।

এরপর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করবে বুয়েট। তারা ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কাজ শুরু করবে। নতুন কালুরঘাট সেতুর নকশা পরিবর্তন হওয়ায় এবং প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে।  


রেল কর্তৃপক্ষ পুরনো সেতুটি বুয়েটের পরামর্শে সংস্কার করে ট্রেন চালানোর উদ্যোগ নেয়। পুরনো কালুরঘাট সেতুটি মেরামত উপযোগী করে তোলার জন্য বুয়েট তাদের পরামর্শ ফি বাবদ প্রথমে ১২ কোটি টাকা চাইলেও শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সম্মত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নতুন নকশায় কালুরঘাট সেতু তৈরিতে সম্মতি দিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন নকশা চূড়ান্ত হওয়ায় এখন প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তৈরি করা হবে। এরপর কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে ঋণ চুক্তি শেষে একনেকে উঠবে। একনেকে অনুমোদনের পর টেন্ডার শেষে ঠিকাদার নিয়োগ হবে।

কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, অনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ২০২৩ সাল চলে যাবে। ২০২৪ সালের শুরুতে আমরা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবো। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের  মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের ট্রেন চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। এরপর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল শুরু হবে।

বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, বুয়েটের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। তারা স্টাডি এবং ডিজাইন করবেন। পুরাতন কালুরঘাট সেতু মেরামত করে সে সেতুতেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন চলবে। এখন এমনিতে ট্রেন চলছে, কক্সবাজার রুটে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালানোর জন্য কালুরঘাট সেতু মেরামত করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৩০ সালে কালুরঘাট সেতু নির্মিত হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ২০০১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে রেলওয়ে। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) একদল গবেষক এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেই সেতু সংস্কার করে ট্রেন যাবে কক্সবাজার। সেতুটি সংস্কার কিভাবে হবে তা পরামর্শ দিবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। তার জন্য ফি নিবেন সাড়ে ৮ কোটি টাকা। 

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২২,২০২২//