শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি: মহান আল্লাহর নিরানব্বই নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শৈলীর সু-উচ্চ
মিনারসহ ঈদগাহ নির্মাণ হচ্ছে সুন্দরবন উপককূলীয় খুলনার পাইকগাছায়।
হতদরিদ্র গ্রামবাসীর অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ঈদগাহটি নির্মিত হচ্ছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনির নাছিরপুর গ্রামে।
মহান আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর প্রতি গভীর ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ ঈদগাহটির নির্মাণের উদ্যোক্তা স্থানীয় সাধারণ গ্রামবাসীই।
রমজানের শুরু থেকেই পার্শ্ববর্তী মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে রোজাদার মুসল্লীরা ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে হাজির হচ্ছেন এর নির্মাণ কাজে। খবর পেয়ে উদ্যোক্তাদের উৎসাহের পাশপাশি নির্মাণ কাজ দেখতে প্রতিদিন ভীঁড় জমাচ্ছেন
প্রত্যন্ত এলাকার শত শত মানুষ। ব্যাতিক্রমী ধর্মীয় এ নির্মাণ শৈলীর স্বাক্ষী হিসেবে এর নক্সা প্রণয়ন করেছেন, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রকৌশলী সজল মন্ডল।
স্থানীয় গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধীকার কর্মী এসএম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগে নির্মাণাধীন ঈদগাহ ও এর ব্যাতিক্রমী দৃষ্টিনন্দন মিনারের কাজ এগিয়ে চলেছে দূর্বার
গতিতে।
এব্যাপারে এস এম মুস্তাফিজুর রহমান পারভেজ জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হতে পারে দেশের দর্শনীয় ধর্মীয় স্থাপনার অন্যতম একটি।
নির্মাণশ্রমিক ইনামুল ইসলাম জানান, মহান আল্লাহর ৯৯ নাম সম্বলিত মিনারটির উচ্চতা হবে ২৭ ফুট, ২৫ ফুট সুদৃশ্য টাইলস দ্বারা খচিত হবে গোটা মিনার। এছাড়া উপর থেকে বৈদ্যুতিক লাইট দ্বারা কৃত্রিম আলোকরশ্মী সৃষ্টি করা হবে।
যা আল্লাহর নামগুলোর উপর ছড়িয়ে পড়লে তৈরি হবে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ। পুরো মিনারজুড়ে থাকবে কৃত্রিম আলোর ব্যাতিক্রমী কারুকাজ।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, মহান ধর্মীয় স্থাপত্য নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন, স্থানীয় মুরব্বী আলহাজ্ব শেখ নেছার আলী।
তিনি বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে স্থানীয়রা সামগ্রিকভাবে মিনারসহ ঈদগাহটির নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
আল্লাহর ৯৯টি নামসহ ব্যাতিক্রমী আয়োজনের ঈদগাহটি বাংলাদেশে প্রথম বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি এর নির্মানকাজ এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post