শেখ নাদীর শাহ্,পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি: কপিলমুনি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সেই আলোচিত সহকারী অধ্যাপক ও জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত প্রধান পরীক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ অক্টোবর কলেজ চলাকালীণ নিয়ম বহির্ভূত ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও বিষয়ের শিক্ষককে দিয়ে খাতা নীরিক্ষণ করাচ্ছিলেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ডিগ্রী কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনিত প্রধান পরীক্ষা নিরীক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম।তিনি এদিন একই কলেজের ডেমোনেষ্টটর শিক্ষককে তার নির্দিষ্ট কক্ষে বসিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে চলমান তৃতীয় বর্ষের খাতা পরীক্ষণপূর্বক নিরীক্ষণ করান। এনিয়ে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় গুরুত্বসহকারে খবর প্রকাশিত হলেও দৃষ্টিগোচর হয়নি সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের।
সূত্র জানায়, প্রথম বারের মত ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষক মনোনিত হন তিনি। এরপর প্রথমবারের মত খাতা পেয়ে তা নিজে পরীক্ষণ কিংবা তার নিযুক্ত নির্দিষ্ট পরীক্ষা নীরিক্ষকদের বাইরে রেখে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও বিষয়ের শিক্ষককে দিয়ে খাতা নীরিক্ষণ করেন। বিষয়টি অভ্যন্তরের কারো কারো দৃষ্টিগোচর হলে তাৎক্ষণিক তার ভিডিওধারণসহ ছবি তুলে রাখা হয়। ঐসময় কলেজ পরিচালনা পরিষদের এক সদস্য কলেজে আসলে তাকেও
অবহিতপূর্বক প্রত্যক্ষভাবে দেখানো হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষকেজানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানালেও কার্যত ঘটনার প্রায় এক মাসঅতিবাহিত হলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা এমনকি নূন্যতম শো-কজও পর্যন্ত করাহয়নি।যদিও ঐদিন সংশ্লিষ্ট রসায়ন বিভাগের ডেমনেস্টেটর খাতা নীরিক্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম তাকে নীরিক্ষণপূর্বক খাতাগুলির প্রাপ্ত নম্বর চেক করতে বলায় তিনি তা করছিলেন। তবে তিনি নবাগত ও নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকায় কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহ অস্বীকার করে বলেন, তিনি তাকে দিয়ে প্রাপ্ত খাতার নম্বর চেক করাচ্ছিলেন মাত্র। পরীক্ষণের কাজ তিনি নিজেই করছেন বলে দাবি করে খাতার সংখ্যা অনুযায়ী দু’জন পরীক্ষা নীরিক্ষক নিযুক্ত করেছেন দাবি করেন। তবে ঘটনার দিন তিনি ভিন্ন শিক্ষককে দিয়ে শুধুমাত্র প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল চেক
করছিলেন বলেও দাবি করেন। তবে নির্দিষ্ট স্ক্রুটিনাইজার থাকতেও অন্যকে দিয়ে খাতা নীরিক্ষণের বিষয় জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।এব্যাপারে কপিলমুনি কলেজের উপাধ্যক্ষ ত্রিদিব কান্তি মন্ডল সংশ্লিষ্ট
শিক্ষকের পক্ষাবলম্বন করে বলেন, প্রধান পরীক্ষক যাকে খুশী তাকে দিয়ে খাতা নীরিক্ষণ করাতে পারেন।
অভিযোগে জানানো হয়, কপিলমুনি কলেজে সংশ্লিষ্ট ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে মাত্র ১ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। ডিগ্রী
পর্যায়ে অবস্থা একই রকম। যার বিপীতে এমপিওভুক্ত দু’জন শিক্ষক রয়েছেন। একাদশে মাত্র একজন শিক্ষার্থীর জন্য সরকারকে দু’জন শিক্ষককে মাসিক প্রায় ৮০ হাজার টাকা বেতন গুনতে হচ্ছে। আর বার্ষিক প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//