করোনার দামামায় মরণব্যাধি এইডস এর নাম হয়তো ভুলেই গেছেন। আর এরই সুযোগে দেশে ফিরেছে মরণ ব্যাধি এইডস। পত্রিকায় জানতে পারলাম, কক্সবাজারে কিছু স্থানীয় লোক ও রোহিঙ্গা এইডস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক!
এইডস রোগ হওয়ার কারণ কম-বেশি আমরা সবাই জানি। জেনেও কেনো সচেতন হচ্ছি না? সচেতন না হওয়ার কারণেই, বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এইডস রোগের নির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ নেই। তবে ধারনা করা যেতে পারে ওজন কমতে থাকবে। ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসবে। ডায়রিয়া হবে। শুকনো কাঁশি থাকবে। গলা ব্যথা করবে, রাতে ঘুমালে শরীর ঘামবে। এছাড়া আরও কারণ থাকতে পারে। এসব কারণগুলো দুই মাসের উপরে চলে যাবে। এই এইডস একটি ভাইরাসজনিত রোগ। যার হয়, তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। একজনের কারণে, তার আশেপাশের লোকজনও আক্রান্ত হতে পারে।
আমরা জেনে নেই, এইডস কীভাবে ছড়ায়: আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, বীর্য ও দুধ। প্রধানত এই তিনটি তরল পদার্থ যে কোনো একটিই একে অপরের দেহে আদান-প্রদান করলে এইডস ছড়িয়ে যাবে। তাই অনৈতিক ও অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হবে।
এছাড়া এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্লেড, ইনজেকশন, সূচ বা সিরিঞ্জ কারো দেহে প্রবেশ করালেই, সেও আক্রান্ত হবে। তাই অন্য কারো ব্যবহৃত এমন জিনিস ব্যবহার করব না। বিয়ে-সাদি করার পূর্বে উভয়ের রক্ত পরীক্ষা করাটা খুবই জরুরি। কেননা, যে কেউ একজন এইডস রোগে আক্রান্ত থাকলে বিয়ের পর যৌন মিলনে উভয় আক্রান্ত হবেন। এমনকি তাদের সন্তান আসলে সেও আক্রান্ত হবে।
এইডস রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর করণীয় কী:
এই রোগের দ্রুত সুস্থ হওয়ার কোনো মেডিসিন নেই। নিদির্ষ্ট কোনো প্রতিকারও নেই। তবে আক্রান্ত রোগীকে মানসিকভাবে যাতে ভেঙ্গে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাকে শান্ত্বনা দিতে হবে। তাকে হেয় চোখে দেখা যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার সেবা-যত্ন করতে হবে।
লজ্জা নয়, বাঁচতে হলে জানতে হবে। নিজে সুস্থ থাকুন অপরকে সুস্থ রাখুন।
—শেখ সজীব আহমেদ, মালদ্বীপ প্রবাসী।

Discussion about this post