‘আমরা সদর দপ্তরে লোকবল চেয়েছি এবং দ্বিতীয় আরেকটা পুলিশ লাইন্স করার বিষয়ে প্রস্তাবও দিয়েছি। কর্ণফুলীর দিকে এই লাইন্স করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি আমরা। কারণ টানেল করার পর ওই এলাকায় শিল্পায়ন বাড়বে। এছাড়াও আমরা থানার সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ টা করার প্রস্তাব দিয়েছি।’
বৃহষ্পতিবার (৭ জুলাই) দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
কোরবানির ঈদে নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সিএমপির গৃহিত পদক্ষেপের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল সিএমপি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি পুলিশ লাইন্স করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির বিদায়ী কমিশনার। কর্ণফুলী টানেলকে কেন্দ্র করে টানেলের আশপাশের এলাকাতেই এই পুলিশ লাইন্স করার কথা বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে সিএমপি কমিশনারের বিদায়ের আগে সাংবাদিকদের সাথে শেষ সাক্ষাৎ হওয়ায় এই সংবাদ সম্মেলন অনেকটাই কমিশনারের বিদায় অনুষ্ঠানে রূপ নেয়।
ঠিক ২২ মাস আগে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার পদে যোগ দেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। দায়িত্ব পালন কালের সফলতা বা ব্যর্থতা সম্পর্কে তার নিজের ব্যক্তিগত মূল্যায়ন কী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খানিকটা রসিকতা করে সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘গত ২২ মাসে আমি অনেক কিছুই করেছি। কিন্তু একটা কাজ আমি কখনোই করিনি। সেটা হচ্ছে নিজেকে কেন্দ্র করে কিছু করিনি বা বলিও নি। যাওয়ার আগে সেই রেকর্ড আমি ভাঙ্গতে চাই না। তাছাড়া আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চেয়েছি কাজেই আমার সফলতা বা ব্যর্থতা বলে কিছু নাই। যদি থাকে তবে সেটা আপনারা বলবেন।’
‘তবে এখানে কাজ করতে গিয়ে আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়েছে লোকবল সংকট। আমাদের সিএমপিতে প্রতি এক হাজার নাগরিকের জন্য ১ জন করে পুলিশ আছে। কিন্তু সারা দেশে এই রেশিও যদি দেখি তাহলে ৮৫০ জনের জন্য ১ জন পুলিশ আছে। অথচ চট্টগ্রাম একটা গুরুত্বপূর্ণ শহর। একটা বড় শহরে যা যা থাকে সবই আছে এখানে। আমাদের হিসেবে এখানে এখন পুরো দেশের হিসেবে ৯০০ লোকবল কম আছে।’— যোগ করেন সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৭ জুলাই-২০২২//