চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে একটি ব্যস্ততম সড়কের ওপর পশুরহাট বসানো হয়েছে বলে অভিয্গে পাওয়া গেছে। ফলে যান চলাচল ও পথচারীদের হাটাঁ-চলায় দুর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার ঘরে ফেরা মানুষ।
সড়কের দু’পাশে গরুর হাটটি বসায় সড়কটি সংকুচিত হয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের বিঘ্ন ঘটছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘ এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে কোরবানির পশুর হাট বসালেও উপজেলা প্রশাসনকে এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ততক্ষণে এ সড়কে দফায় দফায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ হাটের কারণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী এবং অন্যান্য যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ফাজিল খাঁর হাট এলাকায় সড়কের উপর এই পশুরহাট বসে। জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসন সড়কের উপর পশুর হাট বসানোর জন্য কোন অনুমতি দেয়নি। তাহলে ইজারাদার কাকে ম্যানেজ করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেখানে অবৈধভাবেই পশুর হাট বসিয়েছেন। অতীতেও এভাবেই সেখানে পশুর হাট বসেছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসন থেকে ইজারা বা অনুমতি নিয়েছের বলে আমার জানা নেই। রাস্তার উপর পশুর হাট বসানোর ফলে পথ চলাচলকারী মানুষের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। বিষয়টি শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়িও অবগত।
জানতে চাইলে ইজারাদার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, রাস্তার উপর গরুর বাজার বসার অনুমতি নেই। কিন্তু আমরা মসজিদ কমিটির অনুমতি নিয়ে সড়কে গরুর বাজার বসিয়েছি। প্রশাসন আমাদের কোনো অনুমতি দেয় নাই সড়কে বাজার বসানোর। তাহলে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে অবৈধ বাজার বসানোর কারণ কী জানতে চাইলে ইজারাদার আলমগীর বলেন, আমরা যাদের ম্যানেজ করার কথা তাদের ম্যানেজ করেছি। এতে সমস্যা নাই। আপনি আমার সাথে দেখা করেন বলে ফোন লাইন কেটে দেন।’
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি ) পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, সড়কের উপরে বাজার বসার কোনো অনুমতি নেই। আপনারা একটু ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন। কারণ বাজারের বিষয়টি ইউএনও স্যার দেখতেছেন। এই কথা বলে অভিযান চালিয়ে বাজার বন্ধ করার দায় এড়িয়ে যেতে চাইলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও।
ওদিকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরীর। তবে জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা বলেন, বিষয়টি এই মাত্র আপনাদের কাছ থেকে শুনেছি, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। কিন্তু গত ৪৮ ঘন্টায়ও কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি উপজেলা প্রশাসনকে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৭ জুলাই-২০২২//

Discussion about this post