জে. জাহেদ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়াই চলছে তিন শতাধিক ফার্মেসি।
অভিযোগ উঠেছে, ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উপজেলায় তা মানা হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন এসব ফার্মেসিতে বিক্রি করা হচ্ছে নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ। বিক্রি করা হচ্ছে সরকারি ওষুধও। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও করা হচ্ছে এসব ফার্মেসিতে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাট-বাজারের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গজে উঠেছে শতশত ফার্মেসি। এর মধ্যে অনেক ফার্মেসির ড্রাগ লাইসেন্সও নেই।
মহিউদ্দিন নামক এক ফার্মেসির মালিক বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়াটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিনি। লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধ বিক্রয় করছি, কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রেসক্রিপশন দেখে আমরা ওষুধ দিচ্ছি।’
আবার লাইসেন্সধারী এক ফার্মেসির মালিক জানান, আমাদের দোকানে লাইসেন্স আছে কিন্তু ফার্মাসিস্ট নেই সেটা সত্য। তবে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ওষুধ বিক্রি করা হয় না।
তিনি আরো জানান, আমরা তো রোগীকে যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকস দিচ্ছি না। ডাক্তারেরা দিলে আমরা দিই।’
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ বিক্রি করবেন না। লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট বিহীন কোন ফার্মেসি ব্যবসা করা উচিত নয়। কোনভাবেই রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। একটা কথা মনে রাখবেন, ফিজিসিয়ান স্যাম্পল বিক্রির জন্য নয়।
উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, ঔষধ প্রশাসনের দায়িত্ব ফার্মেসিগুলো নজরদারির মধ্যে রাখা। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল কোর্ট চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা পান।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//