Print Date & Time : 3 August 2025 Sunday 4:26 am

কলকাতার নিউ মার্কেটে কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়

কলকাতায় চারদিকে পুজোর আমেজ। কলকাতার শহর সাজ সাজ রব। পুজো আসতে হাতেগোনা কয়েক দিন বাকি থাকলেও উৎসবের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। কেনাকাটা চলছে জোরকদমে।

হুগলির চন্দননগরের গৃহবধূ সুনন্দা বিশ্বাস নিউ মার্কেটের ফুটপাতে কানের দুলের অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘এতদিন ব্যবসা করছি, কিন্তু এরকম থিকথিকে ভিড় আমি গড়িয়াহাটে আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। দোকানে পা রাখার শারদ-সকালের চেনা রোদ্দুর।

দুপুর গড়াতেই গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, হাতিবাগানে দেখা গেল কেনাকাটার জন্য উপচে পড়া ভিড়। পুজোর আগে আর মাত্র একটি ‘উইকএন্ড’ পাবে বাঙালি। তাই বসে না থেকে ‘শুভস্য শীঘ্রম’ বলে এদিন হাজার হাজার মানুষ সপরিবারে পুজো-শপিংয়ে মেতে ওঠেন।

শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে চিত্রটা কমবেশি এক। ভিড়ের চাপ সামলে কেনাকাটা সারতে গিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছে অনেককে। কিন্তু তার জন্য উৎসাহে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি।

গড়িয়াহাটে যেমন, ভিড়ের মধ্যে জনৈক ক্রেতার সরস উক্তি, ‘এ তো অষ্টমীর সন্ধ্যার ভিড়কেও হার মানিয়ে দিল! তবে ভালোই হয়েছে, ভিড় ঠেলে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার একটা ট্রায়াল তো হয়ে গেল!’

দুপুরের পর থেকে স্রোতের মতো মানুষ ঢুকেছে বাজারগুলিতে। বৃষ্টির বাজারগুলিতে। বৃষ্টির বিড়ম্বনা না থাকায় ব্যবসায়ীরা মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন সেই ভিড়কে তাঁদের দোকানের দিকে টেনে আনতে। গড়িয়াহাটে একটি শাড়ির দোকানে
কালো মাথার ভিড়…।

পুজোর সময় বৃষ্টি হলে তো সবটাই মাটি ব্যাপক ভিড় দেখে দৃশ্যতই খুশি ব্যবসায়ীরা। হাতিবাগানের দোকানদার বলেন, ‘এত ভিড় হবে, বুঝতে পারিনি। রবিবার আরও বেশি
জায়গাই নেই!’

তবে স্বাভাবিক কারণেই এই বিপুল জনসমাগমের প্রভাব পড়েছে যান চলাচলে। দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্ক, রাসবিহারী মোড়, কসবায় তীব্র যানজট হয় এদিন। হাতিবাগান, শ্যামবাজার এবং ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করতে কালঘাম ছুটে যায় পুলিশের৷

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/