গোফরান পলাশ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৬ হাজার উপকারভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পেল বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি প্রনোদনার এ বীজ-সার বিতরন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম।
এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এসএম মোশারেফ হোসেন মিন্টু সহ উপজেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় উফশী আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ হাজার ক্ষুদ্র, প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৫ কেজি উফশী আমন ধানের বীজ ও ২০ কেজি রাসায়নিক সার বিতরন করা হয়। হাইব্রীড মরিচ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩০০ জনকে জনপ্রতি ১০ গ্রাম করে মরিচ বীজ দেয়া হয়। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন উফশি জাতের শাক সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮০ জনকে ৫ প্রকারের বীজ দেয়া হয়। একই সাথে জনপ্রতি ৫টি করে ৩০০ জন প্রান্তিক কৃষককে নারিকেল চারা, ১৪০ জনকে লেবু চারা ও ৮০ জনকে আম চারা দেয়া হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ৫০০ প্রতিষ্ঠানকে তাদের উপযোগীতা অনুযায়ী নারিকেল চারা এবং ২২৫ প্রতিষ্ঠানকে তাল চারা দেয়া হয়। এছাড়া ১৪০০ শিক্ষার্থীর মাঝে নিম, বেল, জাম ও কাঁঠাল চারা বিতরন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘কৃষি বিভাগের এবছরের প্রনোদনা কর্মসূচীকে ঐতিহাসিক কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচী হিসেবে অভিহিত করা যায়। কেননা এক সাথে বিনামূল্যে এভাবে আর কৃষি প্রনোদনার বীজ, সার, ফলদ ও ঔষধী গাছের চারা বিতরন করা হয়নি।’
আরাফাত হোসেন আরও বলেন, ‘কৃষি ও খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনে বর্তমান সরকারের নির্দেশে আমরা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুধু অফিসে বসেই নয় সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছি।’

Discussion about this post