গোফরান পলাশ, কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গু সংক্রমন এড়াতে করনীয় সম্পর্কে কিছুই জানে না।
ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এ সংক্রান্ত চিঠি পেলেও শ্রেনীকক্ষে আলোচনা
না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় অন্ততঃ ৭ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
জানা গেছে, পৌরশহর ব্যতীত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের স্কুল গুলোতে এসংক্রান্ত কোন আলোচনা শ্রেনী কক্ষে হয়নি। এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন’অনেক স্যারেরা বিষয় ভিত্তিক আলোচনা বাইরে জাতীয় কিংবা
আর্ন্তজাতিক বিষয় নিয়ে কখনো আলোচনা করেন না, ডেঙ্গু তো পরের কথা।
খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জুনায়েদ হোসেন শাওন বলেন’ ডেঙ্গু সম্পর্কে কোন স্যার শ্রেনী কক্ষে কোন আলোচনা করেনি। একই স্কুলের নবম শ্রেনীর অপর এক শিক্ষার্থী জুনায়েত ইসলাম জানান, ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে আমরা কিছুটা জানলেও ক্লাশে স্যারেরা এখনো আলোচনা করেনি।
এ ব্যাপারে খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, শ্রেনী কক্ষ ছাড়াও পুরো ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। তবে ডেঙ্গু সম্পর্কে শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের ধারনা দিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আনোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিঠি পেয়েছি। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খেপুপাড়া সরকারী মংগলসুখ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিদ্যালয় মাঠের জমে থাকা পানি অপসারনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতামূলক শিক্ষা বিস্তারে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.গোলাম মোস্তফা জানান, সকল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে । আগামী ১৫ জুলাই উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষক
এবং অধ্যক্ষদের মিটিং ডাকা হয়েছে । সেখানেও এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, স্কুলে স্কুলে
আরো আগেই চিঠি দেয়া হয়েছে। মনিটরিং করার ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি উল্লেখ
করেন।
এ দিকে কলাপাড়া পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে
না। পৌরশহরের বিভিন্ন খোলা জায়গায় বাসা-বাড়ীর উঠোনে ডাবের খোসা, ভাংঙ্গা
প্লাষ্টিক পাত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে বৃষ্টির স্বচ্ছ পানিও জমে আছে
বলে এলাকাবাসীর কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. হুমায়ুন কবির জানান, ইতিমধ্যে মশা নিধনের ওষুধ
এসে গেছে। দু’এক দিনের মধ্যে তা পৌর এলাকায় প্রয়োগ করা হবে। বাসা বাড়ী
পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কাউন্সিলরদের যার যার এলাকায় পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কাজ
করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি বলেন।
দৈনিক দেশতথ্য///এস//

Discussion about this post