Print Date & Time : 9 June 2025 Monday 9:21 am

কল-ভেজাল ওষুধে ঠকছে যশোরের মানুষ

নকল-ভেজাল আর নিম্নমানের ওষুধে যশোরের সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসক, ওষুধ কোম্পানি এবং ফার্মেসি মালিকদের যোগসাজশে এই অবস্থা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ইউনানি, আয়ুর্বেদ ও হার্বাল কোম্পানির পাশাপাশি অ্যালোপ্যাথিক, চীন ও জিনজিরা কোম্পানির ওষুধে যশোরের বাজার এখন সয়লাব। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এসব অভিযোগ স্বীকার করলেও বাজার সয়লাবের অভিযোগ মানতে নারাজ। তারা বলছেন লুকিয়ে-চুরিয়ে কিছু অনৈতিক কারবার চলছে।
সূত্র জানায়, একশ্রেণির চিকিৎসক অসুদপায় অবলম্বন করে অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশন করছেন। এসব ওষুধের বেশির ভাগই ‘পট’ বা প্লাস্টিক কৌটার। কিছু ওষুধ আছে স্লিপ বা পাতা, বোতল এবং ক্যাপসুল ফর্মেও। যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনের এবং বঙ্গবাজারের কিছু ফার্মেসিতে এসব ওষুধের দেদার বিকিকিনি হয়। মূলত ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে এসব ওষুধের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষত ভিটামিন, ক্ষুধামন্দা, চোখের জ্যোতি বাড়ানো, কাশি, হজমশক্তি এবং যৌনরোগের মহৌষধ হিসেবে এসব ওষুধ চিকিৎসকরাই লিখছেন।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, গরিবরা খুব অল্প টাকায় ওষুধ কেনেন। তাদের পুঁজি করে এসব ওষুধ লেখা ঠিক না।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হাসান বলেন, ওষুধের গুণমান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাজার থেকে উত্তোলন করে টেস্টিংয়ের জন্য নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//