শেখ সজীব আহমেদ: পত্রিকার কাগজের,বইয়ের পৃষ্ঠার কিংবা খাতার পাতার ঠোঙায় বা মোড়ানো রাখা ঝালমুড়ি,আচার,চপ,রুটি,ডিমটোস্ট ইত্যাদি খাবার আমরা অনেকেই খেয়ে থাকি।আমরা কেউ কি একটিবার চিন্তা করেছি এসব কাগজে কোনো জীবাণু আছে কি না?
অবশ্যই জীবাণু আছে।এই জীবাণু দেহের ভিতরে গেলেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।এমনকি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনাও থাকে।কারণ গবেষণায় জানা গেছে এসব কাগজে রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে।
খবরের কাগজে মোড়ানো খাবার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান যাচাইয়ের সংস্থা ফ্যাসাই। অথচ চপ, সিঙাড়া থেকে শুরু করে যে কোনও ধরণের রান্না করা খাবার কাগজে মুড়ে দেওয়াটা স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অভ্যাসের জন্যই শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারের মত মারাত্মক রোগও হতে পারে। বলা হয়েছে, সাধারণত খবরের কাগজের ঠোঙা বা ছেঁড়া কাগজে খাবার মুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই কাগজ ছাপা হয় নানা রকম রাষায়নিক দিয়ে তৈরি করা কালি দিয়ে। সেই কালি সরাসরি পেটে গেলে শরীর খারাপ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত সম্ভব।
খবরের কাগজে কালি কিছুটা মিশে যায়, কিছুটা আলগা থাকে। যখন কোনও রান্না করা খাবার কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়, তখন সেই আলগা কালি লেগে যায় খাবারের গায়ে। ফলে সরাসরি সেই মারাত্মক ক্ষতিকর কালি চলে যায় পেটে। দীর্ঘদিন ধরে খবরের কাগজে মোড়া খাবার খেলে তাই শারীরিক ক্ষতি হওয়া নিশ্চিত।
চিকিৎসকদের মতে, খবরের কাগজে মুড়ে দেওয়া খাবার শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হওয়া খুবই দরকার।
এছাড়া এসব কাগজ আগে থেকেই কেউ না কেউ হাত দ্বারা স্পর্শ করেছে।তার হাতে যদি জীবাণু থাকে,তাহলে সেই জীবাণু এসব কাগজে লেগে আছে।এই কাগজে কোনো খাবার রাখলে,সেই জীবাণু খাবারের সাথে মিশে যায়।
কেউ তো হাত ধোয়ে কাগজগুলো নাড়াচাড়া করেনি।এসব কাগজ কতদিনের পুরানো তাও গনার বাইরে।এসব কাগজ তো পরিধানের পোশাকের মতো প্রতিদিন ধোয়া হয় না বা যায় না।
মুলকথা হচ্ছে,আমাদের যা রোগ-ব্যাধি হয়,
তা হয় আমরা সচেতন না থাকার কারণে।
যে অসুস্থ হয়।সে জানে সুস্থতার কত দাম।
যা হোক,আমরা সবাই এসব ব্যাপারে সচেতন থাকব,যাতে এরকম ভুল না হয়।আজ থেকে প্রতিজ্ঞা করি,এসব কাগজে খাবার রাখব না এবং খাব না।
এক কথায়,কাগজের ঠোঙার বা মোড়ানো রাখা খাবারকে না বলি।
লেখক: মালদ্বীপ প্রবাসী