চলমান হরতাল-অবরোধে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গতকাল সোমবার ভোরে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বাসের চালক। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষ।
এলাকাবাসী, পরিবহন শ্রমিক-যাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফায় ডাকা চলমান হরতাল-অবরোধের ২য় দিন গতকাল সোমবার। এ দিনের ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর দোকানপাড় এলাকায় কেপি পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-জ ০৪-০৩৬৪) আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ওই বাসটি দিয়ে এ উপজেলা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কারখানার পোশাক শ্রমিক বহন করা হতো। প্রতিদিনের মতো ভোরে ওই বাস নিয়ে শ্রমিক আনার উদ্দেশ্য বের হন চালক হাবিবুর রহমান। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর দোকানপাড় এলাকায় পৌছলে অজ্ঞাত ৫-৭ জন যুবক গতিরোধ করে। পরে তারা লাফিয়ে লাফিয়ে ওই বাসে উঠে। এসময় তারা পেট্রোল দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন বাস চালক। এসময় আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসটি আগুনে পুড়ে যায়।
ওই বাসের চালক হাবিবুর রহমান জানান, শ্রমিক আনার জন্য যাওয়ার পথে ৫/৭ জন যুবক গতিরোধ করে এবং লাফিয়ে বাসে উঠে। পরে তারা পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে চলে যায়। অল্পের জন্য আমি প্রাণে বেঁচে যাই।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার চৌধুরী রায়হান জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের প্রায় আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, ভোরে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে যে বা যাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সকালে একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post