হাসান আলীঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় একযুগ পূর্বে সংঘটিত কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মিজানুর(১৩) নামের এক কিশোর হত্যার অভিযোগে জাফর ওরফে কালু (২৬) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম আসামী আলম কাজীর উপস্থিেিত এই রায় ঘোষনা করেন বলে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম লালন।
সাজাপ্রাপ্ত জাফর ওরফে কালু উপজেলার বেরকালোয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে ও তাঁত শ্রমিক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৯ আগষ্ট, বেলা সাড়ে ৩টা থেকে ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে যে কোন এক সময়ে আসামী জাফর ওরফে কালু নিহত মিজানুরের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে পূর্ব শত্রæতা বতশ: সংগীয় আলম কাজী ও ছালাম নামের অপর দুই কিশোরের সহযোগিতায় হাত পা বেধে শ^াসরোধ করে হত্যা শেষে ঘটনাস্থল কুমারখালী উপজেলার পৌর এলকাধীন দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক মোমিন খন্দকারের পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে গুম করে রেখে যায়। নিহত কিশোর মিজানুর নিঁখোজের ৫দিন পর ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগতি লাশ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ। পরে নিহতের পরিবার লাশের পরিহিতো পোষাক দেখে সনাক্ত করেন।
এঘটনায় নিহতের পিতা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামরে বাসিন্দা জাকের মন্ডলের ছেলে তালেব আলী বাদি হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর কুমারখালী থানায় কিশোর আলম কাজীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো: জহিরুল হক ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারী ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম লালন জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে কিশোর মিজানুরকে শ^াসরোধ করে হত্যার দায়ে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় এবং আসামী জাফর ওরফে কালু প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের সাজার আদেশ দেন আদালত। এছাড়া এমামলার চার্জশীটভুক্ত অপর দুই কিশোর আলম কাজী এবং ছালামের বিচার ইতোমধ্যেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদলতে সম্পন্ন হয়েছে এবং ওই দুই কিশোর বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারে আছে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

Discussion about this post