শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম ।। কুড়িগ্রাম পৌর শহরের মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) নামের এক নারী গভীর রাতে হতাশায় নিজেকে শেষ করবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দেন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পৌরশহরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই নারী তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ি নয় আমার পরিবার আমার পুরো জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছেন। তারাই দায়ি আমার মৃত্যুর জন্য “
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,জাকিয়া ফেরদৌসী (২৮) শহরের মিস্ত্রি পাড়া এলাকায় বাবা জুলফিকার আলীর বাড়িতে বসবাস করেন। ইতিমধ্যে তার দু-টি বিয়ে হলেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার। পরে বাবার বাড়িতেই থাকেন তিনি। হতাশায় পরে তিনি আত্মাহত্যার চেষ্টা চালান। বিষয়টি (উক্ত নারীর সাথে ফেসবুক গ্রুপে সংযুক্ত) এক ব্যক্তির নজরে আসলে ৯৯৯ লাইনে কল করে জানান।
পরে কুড়িগ্রাম সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান স্থানীয় লোকজনদের অবহিত করে। এবং ওই নারীকে দ্রুত সনাক্ত করে স্থানীয় লোকজনসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে জাকিয়া ফেরদৌসীকে কাউন্সিলিং করা হয়। জাকিয়া ফেরদৌসী সুস্থ রয়েছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে তার পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় লোকজনদের সতর্ক করেন পুলিশ।
জাকিয়া ফেরদৌসী জানান, মানসিক হতাশা থেকেই তিনি উল্লেখিত পোস্টটি করেছেন। পরবর্তীতে এরকম ভুল হবে না বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার জানান, ওই নারী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্টাটাস দিয়ে লিখেন ঘুমের ঔষধ খেয়ে তিনি নিজেকে শেষ করবেন। বিষয়টি এক ব্যক্তির নজরে আসলে তিনি ৯৯৯ লাইনে কল করে জানান। পরে খবর পেয়ে আমরা তাকে সনাক্ত করে সুস্থভাবে উদ্ধার করি। এবং তাকে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে সু-পরামর্শ দেওয়া হয়।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৩ সেপ্টেম্বর-২০২২