কুড়িগ্রামে ভারী বর্ষণের কারণে নিচু এলাকার আমন ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। কুড়িগ্রাম ও উলিপুর শহরের বেশ কিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। এদিকে উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে ধরলা ও তিস্ত্মাসহ জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ফলে বেশ কিছু এলাকায় তীব্র হয়েছে নদীর ভাঙন।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১৪৩ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আব্দুস সবুর।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম শহরের জজকোর্ট, ডিসি অফিস, ফায়ার সার্ভিস অফিস, দক্ষিন হাসপাতাল পাড়া সহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় জলাবদ্ধতার তৈরী হওয়ায় জন ভোগান্তি দেখা দেয়। উজানে বৃষ্টির কারণে গত দুদিন ধরে ধরলা ও তিস্ত্মা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
গত এক মাস যাবৎ ভাঙন শুরু হয়েছিল উলিপুরের বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম কালাপানি বজরা, কালাপানি বজরা ও সাতালস্কর গ্রামে। উত্তরে জজমিয়ার বাড়ি থেকে দক্ষিনে রোস্ত্মম মৌলভীর বাড়ী পর্যন্ত্ম প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকাব্যাপী ভাঙন চলছিল। এরমধ্যে গত তিনদিনে হঠাৎ করে ভাঙনের তীব্রতার ফলে প্রায় আড়াই শতাধিক বাড়িঘর, ৫শ’ বিঘা ফসলী জমিন, গাছপালা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ মাঠসহ মানুষের শেষ সম্বলটুকুও নদী গ্রাস করেছে। ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, বজরা পশ্চিমপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, পুরাতন বজরা বাজার ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ধরলার ভাঙনে বেগমগঞ্জ ও সারডোবে বাঁধসহ গুরম্নত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ৩১,২০২২//