কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানের ছেলে সোহেল আনিছের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২ টার দিকে রাজারহাট বাজার এলাকার থানা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটানায় আইনি প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল আলম জিডি নথিভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সোহেল আনিছ। তার দাবি, ‘ সাংবাদিক আসাদের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়েছে। আমি কোনও হুমকি দেইনি।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আসাদ জানান, তার ছোট ভাই রাজারহাট পাঠানহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত। কিন্তু ১৭ বছর ধরে তার এমপিওভুক্তি আটকে আছে। আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসার এডহক কমিটির সভাপতি ও রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান ও মাদ্রাসা সুপার আবুল হোসেনের সাথে যোগসাজসে ছোট ভাইয়ের এমপিওভুক্তি প্রক্রিয়া আটকিয়ে রেখেছেন। এ নিয়ে ঘটনার একদিন আগে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। বাবার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ক্ষেপে যান বিএনপি নেতা আনিছুরের ছেলে সোহেল আনিছ। সংবাদ প্রকাশের জন্য আসাদকে দায়ী করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
সাংবাদিক আসাদ বলেন, ‘ শুক্রবার রাতে আমাকে একা পেয়ে সোহেল আনিছ প্রাণনাশের হুমকি দেন। তার বাবার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার জন্য আমাকে দায়ী করে মারতে উদ্যত হন। আমি মোবাইলে সেটা ধারণ করতে চাইলে আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সোহেল আনিস চিৎকার করে বলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাজারহাট প্রেসক্লাব দখলে নেওয়া হবে। সার্বিক বিষয় জানিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য আমি শুক্রবার রাতেই থানায় জিডি করি। আশা করি পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপির আহবায়কের ছেলে সোহেল আনিছ বলেন, ‘ আমি কোনও রাজনীতি করি না। আমার বাবার সাথে বিরোধের জেরে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমি প্রাণনাশের কিংবা প্রেসক্লাব দখলের কোনও হুমকি দেইনি। আমিও থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।’
বিষয়টি নিয়ে রাজারহাট থানার ওসি নাজমুল আলম বলেন, ‘ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সাংবাদিক আসাদ এর জিডি’র প্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানান তিনি।

Discussion about this post