জাকের আলী শুভ: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনাবাদি ৭৫০ বিঘা জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া সুলতানপুর গ্রামের চরাঞ্চলে প্রায় ৭৫০ বিঘা অনাবাদি জমিতে চলতি মৌসুমে বারি-৪ তিল এর চাষাবাদ করা হয়।
শত শত বিঘা জমিতে সবুজে ছেঁয়ে গেছে। গাছে গাছে সাদা ফুল, ফলও আসতে শুরু করেছে। এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রাইসুল ইসলাম এর পরামর্শ ও সহযোগীতায় এ বছরই প্রথম এই অনাবাদী চরে বারি-৪ তিল এর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ভালো ফলন পাবে বলে আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রাইসুল ইসলাম জানান, এ বছর কয়া ইউনিয়ন বানিয়াপাড়া সুলতানপুর গ্রামের চরাঞ্চল এলাকায় কুমারখালী উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে প্রায় ৭৫০ বিঘা অনাবাদি জমিতে বারি-৪ তিল এর চাষ সহ উপজেলায় ১৯১৫ হেক্টর জমিতে তিলের চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহা অনুকূলে থাকায় ক্ষেতে পোকা মাকড়ের আক্রমণ হয়নি, এবং সরকারি প্রণোদনার, সঠিক সময় কৃষকের মাঝে উন্নত মানের বীজ এবং প্রয়োজনীয় সার সরবরাহের ফলে তিলের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করি। ঔষধি গুণসম্পন্ন এই তিলের তেল হƒদরোগ, চর্মরোগ প্রতিরোধী ও চুলের যত্নে অতুলনীয়। সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি-নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সেই লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিলচাষ লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা দিন দিন তিল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যার ফলে একদিকে তেলের ঘাটতি মোকাবেলায় কাজ করবে, অন্যদিকে কৃষকেরা স্বাবলম্বী হবে।

Discussion about this post