কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক কৃষকের বাড়িতে মজুদ রাখা ঘাঁসে বিষ দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সেই ঘাঁস খেয়ে ওই কৃষকের পাঁচটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে দুইটি গরুর অবস্থা আশঙ্খাজনক হলে জবাই করে স্থানীয় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হয়। বাকী তিনটি গরু কুষ্টিয়া প্রাণিসস্পদ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৫ মে) সকালে উপজেলা বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া গ্রামের কৃষক মো. আইয়ুব আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককের স্বজনদের ভাষ্য, পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ রাতের আধাঁরে ঘাঁসে বিষ দিয়েছিল।
কৃষকের ছেলে রুবেল হোসেন বলেন, তিনি পাঁচটি গরুর জন্য রাতে ঘাঁস কেটে বাড়ির আঙিনায় রেখেছিলেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে গরু গুলোকে ওই ঘাঁস খেতে দিয়েছেলন তাঁর মা। ঘাঁস খেয়ে তাঁদের পাঁচটি গরুই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার মধ্যে দুইটির ষাঁড় গরুর অবস্থা বেশি খারাপ হলে জবাই করে স্থানীয় কসাইয়ের কাছে মাত্র ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। যা আগামী কুরবানি ঈদে প্রায় এক লক্ষ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যেত।
তিনি আরো বলেন, অসুস্থ বাকী দুইটি গাভী ও একটি বাছুর গরু কুষ্টিয়া প্রাণিসস্পদ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাষ্য, শত্রুতা করে কেউ একজন রাতের আধাঁরে ঘাঁসে বিষ মিশিয়েছিল।
কুমারখালী থানার উপ – পরিদর্শক ( এসআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অবশিষ্ট তিনটি গরু এখন সুস্থ আছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরে আলম সিদ্দিকী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘাঁসের সাথে বিষ জাতীয় কোনো উপাদান থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের খোঁজখবর নিয়েছেন।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ১৫ মে ২০২৩

Discussion about this post