ছাব্বির কুমারখালী ॥ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বানিয়াপাড়া গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে ফজরের নামাজের পর এই ঘটনা ঘটে। আহত এক পরিবারের সদস্যরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৫৬), তাঁর স্ত্রী লাইলি খাতুন (৪৫) ও মেয়ে পিংকি (২৬)। আহত অপর পরিবারের সদস্যরা হলেন মামুনুর রশীদ মুক্তার (৫০), আহত মুক্তার হোসেন ছাড়া সবাই কুমারখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল রফিক ইসলাম ও মামুনুর রশীদ মুক্তার এর মধ্যে। রফিকুল ইসলামের কিছু জমি মুক্তার ভোগদখল করায় বিবাদের সৃষ্টি হয়। ৩ জানুয়ারি সোমবার সেই জমিতে খুঁটি তুলা নিয়ে রফিক ও মুক্তার এর মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মুক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে রফিকুল তাঁর পরিবারের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়।রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই এলাকার মসজিদের ইমাম হাফেজ জুবায়ের মাহমুদ বাড়ির জানালার গ্লাস ও বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়। এই সময় মুক্তার ও তার লোকজন জুবায়ের কে মারধর করে বিনা কারণে এই রকম অভিযোগ হাফেজ জুবায়ের। এ দিকে রেজাউল ইসলাম বলেন, রফিকুল ও মুক্তার মধ্যে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে অনেক দিন ধরে। সোমবার হঠাৎ করে ভোর বেলায় আমাদের বাড়িতে মুক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাদের বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে, হামিজ উদ্দিন, লুৎফর,গামবুল, দৌলত সহ আরো অনেকেই রফিকুলের উপর হামলা করে। সেই সময় বাধা দিলে রফিকুলের স্ত্রী, মেয়েকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। হাফেজ জুবায়ের মাহমুদ বলেন, আমার বাড়ির জানালার গ্লাস ভাংচুর করে মুক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্লাস ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে, মুক্তার তাকে মারধর করে এবং জানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এই মুহূর্তে আমি ও আমার পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছি। মামুনুর রশীদ মুক্তার বলেন,জমি নিয়ে রফিকুল তাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে তাকে নিষেধ করতে গেলে রফিকুল তাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সেই সময় আমার ছেলেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Discussion about this post