ছাব্বির হোসেন ,খোকসা, কুমারখালী (কুষ্টিয়া): কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কবরস্থানের জমি নিয়ে গ্রামের দু-পক্ষের বিরোধের জেরে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে পশ্চিমপাড়ায় এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মৃত ইমাম আলীর ছেলে তৌহিদুল শেখ, কাসেম শেখের স্ত্রী নারগিস ও কুদ্দুস জোয়ার্দারের স্ত্রী সেলিনা খাতুন।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া কবরস্থানের পাশে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এ্যাড,আব্দুল আউয়ালের পরিবারের দান করা ১০ শতাংশ জমি নিয়ে গ্রামবাসীর দু-পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন আমান উল্লাহ আর অপর পক্ষের কুদ্দুস জোয়ার্দার।
বিরোধের জেরে গতকাল শুক্রবার জুমআ’র নামাজ পরে আমান পক্ষের তৌহিদুল শেখ ও নার্গিসের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের রুবেল হোসেন। এতে তাঁরা দুজন গুরুতর আহত হলে কুমারখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আমান উল্লাহর লোকজন কুদ্দুস জোয়ার্দারদের পক্ষের লোকজনের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়। হামলায় কুদ্দুস জোয়ার্দারের স্ত্রী সেলিনা খাতুন আহত হয়।
আব্দুল কুদ্দুস জোয়ার্দার বলেন, আউয়াল সাহেবের জমি গোরস্থানে দান করেছে আর কিছু আমাদের কাছে বিক্রি করেছে। কিন্তু আমান গ্রুপের স্কুলের জন্য জমি পায়নি বিধায় রাগে ক্ষোভে আমাদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। এখন হামলা আতংকে আমাদের দিন রাত কাটছে।
এবিষয়ে আমান গ্রুপের প্রধান আমান উল্লাহর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী ও ছেলে জানান, এই এলাকায় একটা স্কুল নেই, তাই গ্রামের সবাই মিলে গোরস্তানের পাশে একটি স্কুল করেছে। স্কুলের জায়গা কম থাকায় গোরস্তানের জায়গা পেতে কুদ্দুস গ্রুপ বাধা সৃষ্টি করে,তাই গ্রামবাসী তাদেরকে একঘরে করে দেই। গতকাল কুদ্দুস গ্রুপই আমাদের উপর হামলা চালায়,আমাদের দুইজন আহত হয়। এখন মামলা থেকে বাঁচতে নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরাই ভাংচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
এবিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন,জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গতকাল দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post