নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার ১নং কয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীদের দাবি জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও কয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন ও তার ভাতিজা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্ররীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তুষার, কয়ার আওয়ামীরীগ নেতা আব্দুল খালেক মেম্বার ও তার ছেলে রপিন মোন্ডলের ইন্ধনে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি, হামলা, ভাংচুড় ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে আসছে একটি চক্র।
তাদের দাবি তারা নিজেরাই অন্যায় করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
অভিযোগকারীদের দাবি চলতি মাসে ৪ তারিখে কয়ার বের কালোয়া গ্রামের রিপন মন্ডল, শিপন মন্ডল গংরা পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে সেদিন বেলা ১২ টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে একই গ্রামের মৃত রেজন শেখর ছেলে সাদ্দাম হোসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে শরিফুল ইসলাম, রোকেয়া খাতুনসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করে।
সে সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে তারা। এর মধ্যে শরিফুৃল ইসলাম গুরুত্বর আহত হলে তাকে হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে ভিকটিম সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে রিপন গংদের ১৬ জনের নামসহ অঙ্গাত ১০/১৫ জনের নামে মামলা করেন কুমারখালী থানাতে। তবে এর পর পরই রিপন মন্ডল গংরা সাদ্দাম হোসেদের ১৪ জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।
ভুক্তভোগীদের দাবি, আওয়ামী লীগের জ্বালায় অতিষ্ঠ আমাদের গ্রামবাসী আমাদের এই পাঁচটা গ্রাম শ্রীখল, কালুয়া, বের কালুয়া, সুলতানপুর ও রাধা গ্রাম।
আমরা মনে করেছিলাম ৫ই আগস্ট এর ঘটনার পর আমরা শান্তি ও শৃঙ্খলার সাথে বসবাস করতে পারব কিন্তু খুবই অপ্রিয় হলেও সত্য এর আগে জিয়া নামের একজনকে রাতের আঁধারে অতর্কিত হামলা করে হত্যা করা হয় তারই ধারাবাহিকতায় ইয়ারুল নামের একজন বাদী ও শফিকুল সহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী গত শুক্রবার জুম্মার জুম্মার নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল খালেক মন্ডলের নেতৃত্বে রিপন শিপন জাহান শাকিব জাহাঙ্গীর আলমগীর এবং কালু এরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে শফিকুলের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং তাকে যখম করে এবং তার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে অনিরাপত্তার ভুগছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোলাইমান শেখ জানান, উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিক্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়ও অত্র অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে কুমারখালী থানা পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।

Discussion about this post