নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল হক মিলনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে কালোয়া বাজার সড়কে অনু্ষ্ঠিত প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, কর্মচারী, কয়েক শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অংশ নেন।
কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক , শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার সরকার, সহকারী শিক্ষক মো. ছমির উদ্দিন ও রাজু আহমেদ, দশম শ্রেণির ছাত্রী তাকিয়া ইসলাম সুরমা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মিথিলা খাতুনসহ প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ১৬ মে কয়ার বানিয়াপাড়া এলাকার বালু ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকে জেলেপাড়ার লোকজন কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছেন। এর সঙ্গে প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল হক মিলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবুও শত্রুতা ও হয়রানিমূলক ভাবে ওই ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। তারা দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
জানা গেছে, ১৬ মে শুক্রবার বিকেলে কয়া বানিয়াপাড়া এলাকার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন ব্যবসার কাজে যাচ্ছিল। সে সময় জেলেপাড়ার সরদার ইয়ারুল ইসলামের লোকজন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগীতায় স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রুহুলের শরীরে ৪৫ টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ১৮ মে তার বড় ভাই আজাহার উদ্দিন কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল হক মিলনকে প্রধান করে ১৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে কালোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহারুল হক মিলন ফোনে বলেন, ‘ আমি কুষ্টিয়া শহরে থাকি। গ্রামে কি ঘটেছে জানিনা। তবুও মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে ষড়যন্ত্র করে মামলা করেছেন ভিকটিমের বড় ভাই। সঠিক তদন্তের দাবি জানান তিনি।
ভুল করে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা হয়েছে। খুব দ্রুতই তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী আজাহার উদ্দিন। তিনি বলেন, এ সব নিয়ে পড়ে কথা বলা হবে।
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, বাদী এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। কেউ জড়িত না থাকলে তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে বাদ দেওয়া হবে।

Discussion about this post