এনামুল হক কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের চড়াইখোল মৌজায় অর্থাৎ কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশেই ২০০৮ সালে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন আবুধাবি প্রবাসী রাকিবুল আলম খান (এস আর খান)।
তবে তিনি প্রবাসে থাকায় জমিতে তেমন কিছু করেন নাই। বেশ কয়েক বছর পর জমিটা বুঝে নিতে গেলে অন্য আরেকজন নিজের জমি বলে দাবি করে আসছেন।
রাকিবুল আলম খান কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কবি আজিজুর রহমান সড়াকের আব্দুস সালাম খানের ছেলে।
এমন অভিযোগ উঠার পেক্ষিতে রাবিবুল আলম খানের দলিল কপি, মিটিশন কপি, খাজনা রশিদ কপি, বিবাদীর দলিল কপি, বিবাদীর মিটশন কপি, মূল বিক্রেতার মিটিশন কপি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে প্রবাসী রাকিবুল আলম খান ২০০৮ সালে একই স্থানে ৮৫শতাংশ জমির মালিক শাহিদা আক্তারের নিকট থেকে ৩৮শতক ক্রয় করেন রাকিবুল। জমি ক্রয়ের পরপরই সেই বছরে জমিটি নাম খারিজ সম্পূন্ন করে ।
তবে বর্তমান এই ৩৮ শতক সহ ৮৫ শতক জমি নিজের জমি বলে দখল করেছেন কুমারখালী উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের শামসুদ্দিন আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম মাসুদ।তবে তার দলিল ও নাম খারিজ ১০১০ সালে।অথচ এটা কিভাবে হলো এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ ।
ধারণা করা হচ্ছে শরিফুল ইসলাম মাসুদ তার ভাই আওয়ামী লীগের নেতা সোহেল রানাকে দিয়ে এসব করিয়েছেন। হাসিনা সরকার থাকাকালীন সোহেলের ছিল ব্যাপক দাপট। বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মান্নান খানের রাজনীতি করতেন তারা। আর সেটিকে কাজে লাগিয়ে তার ভাই মাসুদ এসব করতে পারে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী রাকিবুল আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে একটি আবেদন করেছেন।
ভুক্তভোগী রাকিবুল আলম খান অভিযোগে জানান, জমির ক্রয়ের পূর্বে মালিক ছিল শাহিদা আক্তার ২৩শে জুন ১৯৯৮ তাং ২৯৬১ খোশ কবলা দলিলে ৮৫ শতক সত্ববান হইল। তাহার খারিজ মামলা ৭৬৩/৯-২/২০০০-২০০১ চড়াই খোল ৮৪ মৌজা খতিয়ান আর,এস ৭৫৩/১।
তাহার নিকট হইতে ১২ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ সালে দলিল নং: ৮৩৫ খোশ কবলা দলিলে ৩৮ শতক জমি সত্ববান হইলাম। উক্ত দলিলে খারিজ মামলা নং ০২/৯-১/২০০৮-২০০৯ আর, এস খতিয়ান ৭৫৩/১/১ হোল্ডিং ৯০৮ বড়ই পরিতাপের বিষয় একই দাগ ও খতিয়ানে বিক্রয় জমি দলিল নং: ৭৫৯। তাহার খারিজ মামলা নং: ৫৩৫২/৯-১/০৯-১০ আর, এস খতিয়ান ১২৭০ হোল্ডিং ৯৬৭ জায়গা ৯৭৮ ক্রয় করে, বিবাদী আমার নিজ দলিলের সত্ব সহ রেজিষ্ট্রি এবং খারিজ করিয়া গেল।খারিজ করিয়া জোর পূর্বক আমার জমি দখল করিয়া আসছে।তিনি আরো জানান, ভূয়া দলিল ও খারিজ বাতিলের জন্য একটি অভিযোগ করেছি। খারিজ মামলা নং: ৫৩৫২/৯-১/০৯-২০১০।
তবে উপযুক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার শোনানীর জন্য ডাকলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার জানান, শুনানীর ১ম ডেটে তারা আসেনি। আগামী মঙ্গলবার ২য় শুনানির ডেট দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সমাধান করা হবে।

Discussion about this post