কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাচাতো বোনের বাড়িতে প্রেমের টানে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন চাচাতো ভাই স্বপন আলী (২৭)। ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে পৌরসভার তেবাড়িয়া গ্রামের আসাদের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
নিহত স্বপন আলী চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার বুয়ালে গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, তেবাড়িয়া গ্রামের মৃত চয়ন শেখের ছেলে আসাদের সাথে দর্শনার বুয়ালে গ্রামের স্বপনের চাচাত বোন ও ইনায় এর মেয়ে সুমি খাতুন (২৫) এর বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্বপন কুমারখালীর তেবাড়িয়া গ্রামে চাচাতো বোনের শশুড় বাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণ করতো। যেকারণে তাকে তেবাড়িয়া গ্রামে আসতে নিষেধ করা হয়। তারপরও এসে ঝামেলা সৃষ্টি করায় ৩/৪ মাস পূর্বে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তুহিন শেখের উপস্থিতিতে শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে তাকে আসাদের বাড়িতে না আসার জন্য কড়াকড়ি ভাবে নিষেধ করা হয়। এবং বুধবার স্বপনের মরদেহ আসাদের বাড়িতে থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
নিহত স্বপনের বাবা আব্দুর রশিদ জানান, তার চাচাত ভাই ইনায় এর মেয়ে সুমির সাথে স্বপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টা জানার পর সুমিকে কুমারখালীতে বিয়ে দেওয়া হয়। এবং তার ছেলে স্বপনকেও অন্যত্র বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর স্বপন তার বউকে ছেড়ে দিয়ে সুমির সাথে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। এবং মঙ্গলবার সুমি মোবাইল ফোনে স্বপনকে ডেকে নেয়। তার ছেলেকে সুমির স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবী করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকিবুল ইসলাম জানান, তেবাড়িয়া গ্রামের আসাদের বাড়ি থেকে স্বপন নামের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আসাদ সহ পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৭ অক্টোবর ২০২৩

Discussion about this post