কুমারখালীর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বাড়ি ভাংচুর ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে চাঁদপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মশিউর রহমানের ভগ্নীপতি জাহাঙ্গীরের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর ও জাহাঙ্গীরের স্ত্রী মেহেরুন এবং তার ভাইয়ের ছেলে শাকিল আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় শনিবার রাতে ৩৭ জনকে আসামী করে কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে।
মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না আফরোজ জানান, চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তুষারের নেতৃত্বে সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর দুই ছেলে সালাম, বাশার তার নাতি ছেলে নিশান ও মছোর ছেলে মনিরুল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটি বিলুপ্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে। কমিটি বিলুপ্তির জন্য তারা বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দেয় এবং শনিবার ঢাকা থেকে তদন্ত টিম আসলে সেখানে প্রচুর লোক সমাগম হয়।
এসময় ঘটনাস্থলে থাকা থানা পুলিশ তাকে বাড়িতে চলে যেতে বললে তার বাড়ি একটু দুরে হওয়ায় তিনি তার ননদ মেহেরুন এর বাড়িতে অবস্থান নেন। ননদের বাড়িতে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে প্রায় দুই/ তিন শত লোক সেখানে হামলা চালিয়ে তার ল্যাপটপ ভাংচুর ও ব্যাগে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজ ধ্বংস করে। এছাড়াও বাড়িঘর ভাংচুর ও তার ননদ মেহেরুন ও ভাইয়ের ছেলে শাকিলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রাশিদুজ্জামান তুষার জানান, মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বামী মশিউর রহমানকে সভাপতি ও তার বিভিন্ন আত্নীয়দের দিয়ে পকেট কমিটি করা হয়েছে। যেকারণে এলাকাবাসী কমিটি বিলুপ্তির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দিয়েছে। তদন্ত টিম চলে যাবার পর সভাপতির ছেলে রিংকু সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত এর ছেলে বাশারের বাড়িতে ১৫/২০ জনকে সাথে নিয়ে গালিগালাজ করে ফিরে আসার পর এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে হামলা চালায়।
কুমারখালী থানার ওসি মহসিন হোসাইন জানান, এই ঘটনায় কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ আসামিদের আটকের জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
//জা// দৈনিক দেশতথ্য// ০৬, নভেম্বর ২০২২//

Discussion about this post