কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর পাকার মাথা পদ্মা নদী থেকে বছরের পর বছর চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
জানু নামের ব্যাক্তি দেশীয় ড্রেজার দিয়ে বালু নদীর পাড়ে উঠায়, আর ঐ বালু উত্তোলনকারীর মূলহোতা শরিফুল স্কেভেটর দিয়ে বাটাহাম্বায় বালু পরিবহনের মাধ্যমে বিক্রি করছে।
বালু খেকোরা নিয়মিত বালু উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এতে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ, ধ্বংস হচ্ছে ফসলি জমি ভাঙছে নদী কাঁদছে মানুষ। ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে।
প্রতিষ্ঠিত হয় অন্তবর্তী কালীন সরকার। কিন্তু বালু খেকো জানু, শরীফুল গংদের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়নি। আওয়ামী শাসনের সময় নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন করে জিরো থেকে হিরো শরীফুল। স্থানীয় অনেকে জানান কিছু অসাধু রাজনৈতিক নেতারা নিয়মিত মাসোয়ারা না নিলে এভাবে বালু উত্তোলন করে নদীপাড় ও রাস্তা ধ্বংস করতে পারতো না।
কুমারখালী উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম এলাকা হচ্ছে এই মহেন্দ্রপুর। এ ব্যাপারে শরীফুল মুঠোফোনে জানান, আমার জায়গা থেকে বালু বিক্রি করছি তাতে কার কি আসে যায়। তিনি আরো সব সরকারে সময় আমি বালু উত্তোলন করবো, আপনার কাছে যারা অভিযোগ নিয়েই থাকেন। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেনি।
সুচতুর শরীফুল বিভিন্ন মোড়ে তার লোকজন দিয়ে পাহারা বসিয়ে নজর রাখে,কোন গনমাধ্যম কর্মি অথবা প্রশাসন আসছে কিনা। যদি আসে তাহলে ফোনে জানিয়ে দেয়, তখন ড্রেজার,স্কেভেটর ও বাটাহাম্বা বন্ধ করে দেয়।
এহ/19/10/24/ দেশ তথ্য