কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় দীর্ঘ দেড় দশক ধরে গড়ে উঠা অনিয়মন দুর্নীতি ও টেন্ডার সিন্ডিকেটের আগ্রাসনের বৈষ্যম্যে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকার ব্যবসায়ীরা মানব বন্ধন করেছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএডিসি কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে এই মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বিএডিসি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবিলম্বে এখানকার প্রকল্প পরিচালক সহ তার দোসরদের অপসারনের দাবিতে এই মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী ঠিকাদারবৃন্দের সভাপতি রকিব খান চৌধুরী ওরফে লিটন খান।
লিটন খান বলেন, দেশ আজ বৈষম্যমুক্ত চেতনার মধ্যদিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। অথচ দীর্ঘ দেড় দশক ধরে বিএডিসির দূর্ণীতি পরায়ন প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজসে গড়ে উঠা একদল টেন্ডার সিন্ডিকেট চক্রের খপ্পরে এখানে যে দূবৃত্তের আস্তানা গড়ে উঠেছে তার মূল শিকড় তুলে ফেলতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে আমরা বিএডিসির লাইসেন্স ধারী হিসেবে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছি; কিন্তু দূবৃত্তচক্রের খপ্পরে পড়ে বিএডিসির সকল উন্নয়ন প্রকল্পের দরপত্র তাদের দখলে আটকে রেখে আমাদের বঞ্চিত করে চলেছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্যত: উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমাদের কার্য অভিজ্ঞতাহীন তালিকায় ফেলে রেখে দরপত্রে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না।
আমরা এই হীন উদ্দেশ্য মূলক কুটকৌশলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে দূর্নতিগ্রস্ত প্রকল্প পরিচালক আলি আশরাফকে এই দপ্তর থেকে অপসারন করে তাকে ঘিরে গড়ে উঠা টেন্ডারবাজ সিন্ডিকেটধারীদের উৎখাত করা হোক। একই সাথে বিএডিসি সম্প্রতি আহ্বানকৃত ‘মুজিব নগর সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের’ দরপত্র স্থগিত ও বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে সেখানে আমাদের অংশগ্রহনকে নিশ্চিত করার দাবি করছি।
আরও একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ী রুবেল বিশ^াসের অভিযোগ, ‘এই প্রকল্প পরিচালক তার পছন্দসই ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে কার্যত: রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা লোপাট করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এক কাজকে দুই বার দেখিয়ে বিল ভাওচারের মাধ্যমে সরকারের টাকা আত্মসাত করেছে।
ঠিকাদারের সাথে যোগ সাজসে কাগজে কলমে উন্নয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখিয়ে ভুয়া বিল তুলে আত্মসাত করেছে। অথচ আমরা যারা এখানে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের কাজ করার পথ রুদ্ধ করে রেখেছে এই প্রকল্প পরিচালক। তাই অবিলমে¦ এই দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে শুধু অপসারন নয় তার সময়কালে যতগুলি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সেগুলির তালিকা ধরে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখে অভিযোগের সত্যতা সাপেক্ষে তাকে চাকরীচ্যুৎ সহ বিচারের মুখোমুখি দাড় করাতে হবে। অন্যথায় আজকে আমরা যে আন্দোলনের ডাক দিয়ে এখানে দাড়িয়েছি এই আন্দোলন আরও কঠোর ভাবে গড়ে তোলা হবে এবং দূর্নীতিগ্রস্ত এই দপ্তরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
তবে এবিষয়ে কথা বলার জন্য বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আলি আশরাফ এবং সহকারী প্রকৌশলী মো: এরশাদ আলীর কক্ষের দড়জা লক পাওয়া যায়। অফিসের কর্মচারীরা জানায় স্যারেরা বাহিরে আছেন। মুঠোফোনে ফোন দিলে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আলি আশরাফ কল রিসিভ করেননি।

Discussion about this post