কুষ্টিয়াঃ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সুস্থ করে তুলতে কাজ করছে ‘এনডিডি প্রটেকশন অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার’ স্কুল।
উক্ত স্কুলে সামি শামস খান ঠাকুর স্মরনার্থে বিশেষ আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহর সমাজসেবা কার্যালয়-২ আমলাপাড়ায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সহ সভাপতি আশরাফউদ্দিন নজু।
এসময় তিনি বলেন, “শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মধ্যে আনন্দ পৌঁছে দিতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের শিক্ষাদান এবং মেধা বিকাশে কাজ করছি। তিনি বলেন, সমাজের সবাই এগিয়ে এলে এসব শিশুরাও সাধারণ শিশুদের মতো জীবনযাপন করতে পারবে। আমাদের সবারই উচিত এসব শিশুদের বন্ধু হয়ে তাদের পাশে থাকা তাদের মানসিক ও শারীরিক সাপোর্ট দেওয়া”।
শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সভাপতি জিএম গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত উপপরিচালক ডাঃ জেসমিন আক্তার, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ফিরোজুর রহমান, আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. হাফেজ মোহাম্মদ আবদুল করিম, ডাঃ আসমা জাহান লিজা,প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আফসানা বেগম।
মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন শহর সমাজসেবা অফিসার ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ জহিরুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, “নানা কারণে বাংলাদেশে বাড়ছে অটিস্টিক শিশুর সংখ্যা। সে তুলনায় স্কুলের সংখ্যা খুবই কম। এই সংখ্যা বাড়াতে কাজ করতে হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ায় ৪০ জন বিশেষ শিশুদের নিয়ে পরিচালিত ‘এনডিডি প্রটেকশন অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার’ স্কুলটি গত বছর প্রতিষ্ঠিত হয়। “এই স্কুলের প্রধান উদ্দেশ্য বিশেষ শিশুদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া।
শিশু কেন্দ্রিক পরিকল্পনা অনুসারে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে এখানে। শিক্ষকদের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে এই বিশেষ শিশুরা।
শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের সভাপতি জিএম গোলাম মোস্তফা জানান, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য এই প্রতিষ্ঠানে সকলের সহযোগীতা নিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলতে কাজ করছি। আমাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গোপালগঞ্জের সম্ভ্রান্ত পরিবারের একজন। যার সহযোগিতায় আজ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনেকদূর এগিয়েছে। সেই পরিবারের সদস্য সামি শামস খান ঠাকুর ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে মৃত্যুবরন করেন। তারই স্মরণে দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছি।
শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এসব শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েরা কত অসহায় তা কেবল সেসব অভিভাবকরাই জানে। তবুও প্রতিটি ক্ষেত্রে এই শিশুটির জন্য তাঁদের হাত-পা বাঁধা। এই শিশুদের কাছে আনন্দ পৌঁছাতে হবে আমাদেরকেই।
অনুষ্ঠানে শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী সদস্যরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post