Print Date & Time : 21 April 2025 Monday 8:13 pm

ঘর জামাই নিরুদ্দেশ: পাঁচ বছর খুন মামলা টানছে স্ত্রীর পরিবার

খুন কিংবা গুম নয়, স্ত্রীর উপর অভিমান করে ঘর জামাই হয়েছিলেন স্বেচ্ছা নিরুদ্দেশ। ছেলেকে হত্যা পূর্বক লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে এমন ধারনার বশবর্তী হয়ে রিপনের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ঘর জামাইয়ের মা।

পাঁচবছর পর নিরুদ্দেশ ওই ঘর জামাইকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কুষ্টিয়ার পুলিশ।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর থানার গোভীপুর দত্তপাড়ার  মোঃ মনিরুল ইসলাম এর পুত্র ভিকটিম মোঃ রকিবুজ্জামান রিপন (৩০) এর সাথে মামলার বিবাদী মোছাঃ শ্যামলী খাতুনের বিবাহ হয়। বিবাহের প্রায় ছয়মাস পর হতে ভিকটিম তার শশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসাবে বসবাস শুরু করে এবং তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। কিছুদিন পর সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে রিপন স্বেচ্ছায় নিরুদ্দেশ হন।  
থানা পুলিশ দীর্ঘ দিন তদন্ত করে রিপনকে জীবিত অথবা মৃত কোন ভাবেই উদ্ধার করতে না পেরে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহন না করে পুলিশ সুপার, পিবিআই, কুষ্টিয়াকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দিক নির্দেশনায় কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মনিরুজ্জামান ২০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ভিকটিম রিপনকে উদ্ধার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রকিবুজ্জামান রিপন (৩০) ২০১৭ সালের জুলাই মাসের ০৮ তারিখে অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয় এবং ছদ্ম নাম ধারন করে   আত্মগোপনে ছিল।
গত ১০/০৩/২০২০  তারিখ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে  মোছাঃ শিমলা আক্তার (২০), বিয়ে করেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে ।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ভিকটিম রিপনকে জীবিত উদ্ধারের এই ঘটনায় তার ও আসামিদের পরিবারে স্বস্তির নিশ্বাস বইতে শুরু করেছে। আসামিরা মিথ্যা খুন মামলা ও লাশ গুমের মামলা থেকে হাফ ছেড়ে বেঁচেছে এবং বাদী তার কোলে পুত্রকে ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//