নিজস্ব প্রতিবেদক :কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়েছে স্কুল শিক্ষক, অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অভিযুক্ত শিক্ষক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরানখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং একই এলাকার মৃত শফিরদ্দির ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০)। ঘটনার পর থেকেই প্রভাবশালীরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখে গত শনিবার রাত্রে স্থানীয় মেম্বারের বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানের উপস্থিতিতে বিচারের নামে কিছু টাকা প্রদান করেছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে একশোবার কান ধরে উঠাবসা করিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পরানখালী গ্রামের জৈনিক দিনমজুরের স্ত্রী অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য গরুর গোবর চাইতে যায়। এসময় শিক্ষক তাকে ভোর বেলাতে আসতে বলেন। তার কথামত ভোরের দিকে গৃহবধূ গরুর গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে। সেসময় শিক্ষক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধূ কোনমত তার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে বাড়িতে পৌঁছে তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলেন। এসময় ভুক্তভোগীর ছেলেরা বিষয়টি জানতে পেরে মায়ের ইজ্জতহানীর চেষ্টাকারী শিক্ষককে মারতে উদ্দত হয়। সেসময় স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে একটি হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়।
সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে চেয়ারম্যান হাসান আলী গৃহবধূর ও স্থানীয়দের শান্ত করে থামিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় এলাকার সচেতন অভিভাবক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা বলেন যিনি একজন শিক্ষক হয়ে গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেছে। তাহলে তার থেকে আমাদের কোমলমতি শিশুরা কিভাবে রক্ষা পাবে। ওই স্কুলের অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান হাসান আলী সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করে দিয়েছি। তবে কিভাবে মিমাংসা করেছেন তার সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ভেড়ামারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আহসানারা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল ইসলাম এমন অপকর্ম করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলেন জানিয়েছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post