কুষ্টিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচা আসাদুল হক কবিরাজকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজা জাহিদুল হক কবিরাজকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামী জাহিদুলকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার অপর চার আসামীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
দন্ড প্রাপ্ত জাহিদুল হক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ করিবাজের ছেলে।
কুষ্টিয়া জজ আদালতের পিপি এ্যাডঃ অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে এবং এজাহার সুত্রে জানা য়ায়, বাড়ীর সীমানা এবং বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আসাদুল কবিরাজের সাথে তার ভাই মুরাদ করিবাজের বিরোধ চলে আসছিলো।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন নিয়ে আসাদুলের স্ত্রী নাজমার সাথে মুরাদ কবিরাজের স্ত্রী রহিমা খাতুনের ঝগড়া শুরু হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রহিমার স্বামী মুরাদ এবং ছেলে জাহিদুল ইট এবং বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আসাদুলকে জখম করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই দিন পর আসাদুল মারা যায়।
এ ঘটনায় আসাদুলের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই মুরাদ কবিরাজ তার ছেলে জাহিদুল কবিরাজসহ ৫ জনকে আসামীকে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুজিত কুমার কর।
এই মামলার ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন।
জা//দৈনিক দেশতথ্য// অক্টোবর ২৫, ২০২২//

Discussion about this post