কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগ তুলে মিন্টু (২৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ফারুক হোসেন (৪৩) ও আমিন উদ্দিন (৫৭) নামে দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহি দন্ডপ্রাপ্ত এক আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার পর কঠোর পাহাড়ায় আমিন উদ্দিন কে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন এবং অপর আসামী ফারুক হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন(৪৩)(পলাতক) ও একই গ্রামের মৃত আমজাদ মন্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন(৫৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী যুবক নিহত মিন্টুর বিরুদ্ধে পানির টিউবয়েলের হ্যান্ডেল চুরির অভিযোগ তুলে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারী রাতে মিন্টু বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্ত প্রতিপক্ষের লোকজন একজোট হয়ে মিন্টুকে ঘিরে ধরে টেনে হিচরে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মাথায় আঘাত করে। এসময় নিহতের গোঙ্গানির শব্দে স্থানীয়রা টের পায়। এসময় আসামিরা অচেতন মিন্টুকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে মিন্টুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিন্টুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একদিন পরে মিন্টু মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা পরদিন ১৬জনের নামোল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে দৌলতপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর কবীর ২০০৯ সালের ৫ মে দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি এ্যাড. খন্দ: সিরাজুল ইসলাম জানান, ‘দৌলতপুর থানার এই হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দীর্ঘদিন স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আদালত এই মামলার এজাহার নামীয় ১৪ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান দেন এবং ফারুক ও আমীন নামের দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।