ওপেলিয়া কনি, কুষ্টিয়া // কুষ্টিয়ার মিরপুরে তামাক চাষ নিরুৎসাহিতকরণ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে মিডিয়া প্রতিনিধিদের সহায়ক ভূমিকা শীর্ষক এক অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এবং এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম উইমেন ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিডব্লিউএলডি)-এর সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মমতাজ আরা বেগম। সভা পরিচালনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে সালমা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান লাকী, মুক্তির মনিটরিং অফিসার বিপ্লব বিশ্বাস, ইয়ং রিসার্চার শিবলী আক্তার, মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী, সাবেক সভাপতি বাবলু রঞ্জন বিশ্বাস, আছাদুর রহমান বাবু, কাঞ্চন কুমার হালদার, সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির হিমু এবং দৈনিক দেশতথ্যের নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক জনকণ্ঠের সংবাদদাতা ওপেলিয়া কনি প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মমতাজ আরা বেগম বলেন, “তামাক চাষ বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। এই বিষবৃক্ষ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে, জমির উর্বরতা নষ্ট করছে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই সরকার, নীতিনির্ধারক ও মিডিয়া সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলেই কৃষকেরা বিকল্প নিরাপদ ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হবেন। এখনই পদক্ষেপ না নিলে এর ক্ষতি থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।”
বক্তারা আরও বলেন, কুষ্টিয়ায় দিন দিন বিস্তীর্ণ জমিতে পরিবেশ বিধ্বংসী তামাক চাষ বাড়ছে। তামাক চাষের কারণে যেমন মানবস্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।
তারা আরও বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের অগ্রিম টাকা ও নানা প্রলোভন দিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী করে তোলে। অথচ বিকল্প নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে কৃষকেরা তামাক থেকে সরে আসতে সক্ষম হবেন। এ অবস্থায় সরকারীভাবে ও সামাজিকভাবে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং তামাক চাষের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ওপেলিয়া কনি//দৈনিক দেশতথ্য//০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Discussion about this post