নিজস্ব প্রতিবেদক: অভাব-অনটনের সংসারে ঠিকমতো খাবার জোগানো যেন দায় হয়ে পড়েছিল। এ অবস্থায় দরিদ্র পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে কুষ্টিয়ার দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা।
দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দা লতা পারভীনের হাতে তুলে দিয়েছে একটি সেলাই মেশিন।
সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন তিনি। অন্যের সেলাই মেশিনের সহায়তায় পোশাক তৈরির কাজ করছেন বাড়ীতেই। আর তার এমন উদ্যোমী হওয়ার কথা শুনে এই সেলাই মেশিন উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। এই সেলাই মেশিন দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথ বেছে নিয়েছেন লতা পারভীন।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লতা পারভীনের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।
এসময় দিশা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল ইসলাম, সহকারী পরিচালক এমআর ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা বলেন, অন্যের বাড়ীতে সেলাইয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা নারীকে সেলাই মেশিন উপহার দিয়ে যে মানবিকতা দেখিয়েছে দিশা সত্যি প্রশংসনীয় কাজ এটি। শুধু এটিই নয়, আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে মানবিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দিশা সংস্থা সব সময় মানুষের পাশে থাকে। অসহায়দের খুঁজে বের করে যেভাবে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে, তা নজিরবিহীন। তাদের এই কল্যাণমূলক কাজের ধারা অব্যাহত থাকুক—এই কামনা করি।’
দিশা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: রবিউল ইসলাম জানান, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোলাগে। এই ভালোলাগা থেকেই মানুষের কল্যাণে দিশা সংস্থা মানুষের পাশে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে আসছে। সেলাই মেশিন বিতরণ, হুইল চেয়ার বিতরণসহ নানান ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সামাজিক কর্মকান্ড অব্যহত থাকবে।
সেলাই মেশিন পেয়ে আবেগেআপ্লুত হয়ে, লতা পারভীন জানান, সেলাইয়ের কাজ শিখেছি, অন্যের বাড়ীতে কাজ করি। সেলাই মেশিন না থাকায় অন্যের উপর নির্ভর করতে হতো। আজকে সেলাই মেশিন পেয়ে খুবই ভালো লাগছে আমার।
এই মেশিন চালিয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী হতে পারবো আমি ও আমার পরিবার। তিনি আরও জানান, দিশার পরিচালকের জন্য নামাজ শেষে দুই হাত তুলে দোয়া করব, যেন আল্লাহ তাদের সব সময় ভালো রাখে।’
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

Discussion about this post