কুষ্টিয়ায় দুদকের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

ভুয়া নামে ঋণ বিতরণ ও আদায়কৃত কিস্তির টাকা আত্মসাতের দায়ে গ্রামীণ ব্যাংক মুজিব নগর শাখার ৩ কর্মকর্তার প্রত্যেকের ৩বছর সশ্রম কারাদন্ডসহ পৃথক ভাবে প্রত্যেকের ৫লক্ষ ৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬মাসের বিনাশ্রম কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো: আশরাফুল ইসলাম দন্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার নোয়ালী গ্রামের বাসিন্দা তোরাব আলীর ছেলে গ্রামীন ব্যাংক মহাজনপুর মুজিবনগর শাখার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক এসএম শরিফুজ্জামান (৪০), ঝিনাইদাহের শৈলকুপা গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিনের ছেলে অপর শাখা ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান (৪০) এবং পলতাক আসামী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সিনিয়র শাখা ব্যবস্থাপক সোহেল রানা (৩৯)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহিতা কিছু সংখ্যক গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১২ মার্চ দুদকের একটি অভিযানিক টিম গ্রামীণ ব্যাংক মহাজনপুর মুজিব নগর শাখায় অভিযান চালায়। এসময় ২০১৩ সালের আষ্ট হতে ২০১৪ সালের ফেব্রæয়ারী সময়কালের মধ্যে গ্রামীন ব্যাংকের ঋণ বিতরণ সংশ্লিষ্ট ১৬টি খাতের কাগজপত্র পরিক্ষা করে দুদক। সেখানে ভুয়া নামের ঋণ বিতরণ ও ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে আদায়কৃত কিস্তির টাকা ভুয়া বা জাল স্বাক্ষর করে পরস্পর যোগসাজসে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের সত্যতার প্রমান পায় দুদকের ওই আভিযানিক টিম। এঘটনায় ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে ৩জনের নামোল্লেখসহ ৪০৯/৪২০/১৯৯/ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধযোগ্য অভিযোগ এনে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৩মার্চ এজাহার নামীয় ৩ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতে চার্যশীট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুৃল ইসলাম।

রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক কুষ্টিয়ার কৌসুলি এ্যাড. আল মুজাহিদ হোসেন জানান, ‘মেহেরপুর জেলার মুজিব নগরের গ্রামীন ব্যাংক শাখার কর্মকর্তাগণ অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করত: যোগসাজসে ব্যাংকের টাকা আত্মাতের অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানীর মাধ্যমে সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় ৩আসামীর প্রত্যেকের পৃথকভাবে ৩বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫লক্ষ ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬মাসেন সাজা খাটার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য,৩০ মার্চ ২০২৩