Wednesday, 2 July 2025
🕗
দৈনিক দেশতথ্য
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার
No Result
View All Result
দৈনিক দেশতথ্য
No Result
View All Result

কুষ্টিয়ায় পলিথিনের খুপরি ঘরে মানবেতর জীবন বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলের !!

সাইফুল by সাইফুল
25/12/2022
in স্বদেশ খবর
Reading Time: 1 min read
0
কুষ্টিয়ায় পলিথিনের খুপরি ঘরে মানবেতর জীবন বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলের !!
Share on FacebookShare on Twitter Share on E-mail Share on WhatsApp


দুখিনী রিজিয়া খাতুন ও তার মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পলিথিন, পাটখড়ি আর বাঁশ দিয়ে বানানো খুপরি ঘরে থাকে। অস্থায়ী বিশ্রামাগারের মতো পলিথিনে মোড়ানো খুপরি ঘরটি মাঠের মধ্যে হওয়ায় নিরাপত্তা নেই বলেই চলে। সেখানে যাতায়াতের রাস্তা, টিউবওয়েল, বাথরুম নেই। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে তাদের। কখনও কখনও না খেয়েও দিন পার করতে হয়। চরম দুঃখ দুর্দশা আর দুর্ভোগের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন এই মা-ছেলের। রোদে, শীতে আর বৃষ্টিতে ১২ মাসই তাদের কষ্ট। 


তাদের এমন বিপদে এগিয়ে আসেননি জনপ্রতিনিধিরাও। বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলে পলিথিনের ঘরে থেকেও ভাগ্যে জোটেনি সরকারি ভাতা, মাথা গোঁজার মতো একটা ঘর কিংবা একটা কম্বল।


তার স্বামী প্রায় ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। অসহায় বৃদ্ধা ওই নারী কাজের বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টাকা ও দুই কেজি চাল পান। এদিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে চলে সংসার। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা।


রিজিয়া খাতুন (৬৫) কুমারখালী উপজেলার সাদকী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের তারাপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে তার স্বামী রাজ্জাক মন্ডল স্ট্রোক করে মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পরে তার জীবনে নেমে আসে নানা দুঃখ কষ্ট। রিজিয়া খাতুনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৭) মানসিক প্রতিবন্ধী। তার স্বামীর বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। বিয়ের পরে থেকে তার স্বামী কুমারখালীতে বসবাস করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর পরের বাড়িতে থাকতেন এবং কাজ করতেন। প্রায় ১০ বছর আগে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই কাঠা জমিতে ঘর করে বসবাস করা শুরু করেন রিজিয়া খাতুন ও তার ছেলে। 


কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিজিয়া খাতুন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে আমার স্বামী স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আমার একমাত্র ছেলের মাথায় সমস্যা, পাগল। সে কোনো কাজ করতে পারে না। সারাদিন পথেঘাটে ঘুরে বেড়ায়। ছেলের চিকিৎসা করাতে পারিনা। গত তিন বছর ধরে ঔষধ কিনে দিতে পারিনি ছেলেকে। আমি ও আমার ছেলে সরকারি কোনো ভাতা পায় না। এপর্যন্ত সরকারি কোনো সুবিধা পায়নি। আমার ঘর নেই, টিউবওয়েল নেই, পায়খানা নেই। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া দুই কাঠা জমি ছাড়া আমার কিছুই নেই। অর্থের অভাবে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটে আমাদের। পাটখড়ির বেড়া ও পলিথিনে মোড়ানো খুপরি ঘরে আমরা অনেক কষ্ট করি। শীতের মধ্যে শীতের কষ্ট, গরমকালে গরমের কষ্ট। মাঠের মধ্যে খোলামেলা জায়গায় পোকামাকড়ের ভয়ে থাকতে হয়। বর্ষাকালেও কষ্টের শেষ থাকে না। মাঠের মধ্যে বসবাস করি, যাতায়াতের রাস্তা নেই, বর্ষাকালে হাটুপানি জমে থাকে। 


কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের গরীব মানুষকে ভাতা দেয়, ঘর দেয়, খাদ্য দেয়, কম্বল দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমার কপালে কিছুই জোটেনি। মেম্বার-চেয়ারম্যানরাও সাহায্য করে না। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, তাও কেউ সহযোগিতা করেনি আগের ভাঙাচোরা একটা ঘরে থাকতাম। সেই ঘরটা নষ্ট হয়ে গেছে অনেক আগে। আমার মাথা গোজার ঠায় নেই। কাজের বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহে ২০০ টাকা ও দুই কেজি চাউল পায়। সেটা দিয়ে কষ্টে সংসার চলে। পাগল ছেলেটাকে নিয়ে আমি খুবই কষ্টের জীবন কাটায়। আমার দুঃখ বোঝার মতো কেউ নেই। সরকার যদি আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে তাহলে আমি খুবই খুশী হবো।
প্রতিবেশী শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধা নারীর খুব কষ্ট। তার স্বামী বহুবছর আগে মারা গেছেন। মানসিক প্রতিবন্ধী একমাত্র ছেলেকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে তার দিন কাটে। উপার্জনের কেউ না থাকায় পরের বাড়ি কাজ করে এবং মানুষের কাছে চেয়েচিন্তে সংসার চলে। তাদের জীবন, খুব কষ্টের জীবন। বর্তমান যুগে এমন অসহায় মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মেম্বার-চেয়ারম্যান কোনো সহযোগিতা করে না তাকে। তার কষ্ট দেখে আমাদের চোখে পানি চলে আসে। পলিথিনের নিচে তাদের বসবাস। ঘর নেই, টিউবওয়েল নেই, পায়খানা নেই, একেবারে নিঃস্ব মানুষ। তাদের শীতের মধ্যে শীতের কষ্ট, গরমের সময় গরমের কষ্ট। ছেলের চিকিৎসা করাতে পারে না। ঠিক মতো বাজার করতে পারে না। তাদের ১২ মাসই কষ্টে কাটে। তাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই। তাকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য সরকারের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।


স্থানীয় বেবি খাতুন বলেন, তাদের খুবই কষ্ট। মাঠের মধ্যে কাঠখড়ির বেড়া ও পলিথিন দিয়ে মোড়ানো একটি খুপরি ঘরে থাকে তারা। এছাড়া তাদের কিছুই নেই। একটা পাগল ছেলে আছে। উপার্জনক্ষম কেউ নেই। বৃদ্ধ ওই নারীটি পরের বাড়িতে কাজ করে অল্প কিছু টাকা-পয়সা পায়। সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলে না। ঠিক মতো বাজার করতে পারে না। মাঠেঘাটে বুনো শাকসবজি তুলে এনে খায়। অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করে। অনেক সময় প্রতিবেশী ও স্থানীয় মানুষের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ক্ষুধা নিবারনের ব্যবস্থা করে। তার কষ্টের শেষ নেই। সরকার হাজার-হাজার লাখ-লাখ মানুষকে ঘর দেয়, ভাতা দেয়, খাদ্য দেয়। কিন্তু অভাগা বৃদ্ধা ওই নারী সরকারের কিছুই পায় না। তার কষ্টে আমাদের কান্না পায়। সরকারের উচিৎ তাকে সাহায্য করা। সরকার তাকে সহযোগিতা করলে আমরা খুবই খুশী হবো।


প্রতিবেশী টুম্পা খাতুন বলেন, সে খুবই গরীব ও অসহায়। একটা পাগল ছেলে, তার মাথায় সমস্যা, পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। মাঠের মধ্যে গাছ তলায় পলিথিনে মোড়ানো ঘরে বাস করে তারা। মানুষের কাছে চেয়ে তাদের সংসার চলে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে। তার ঘর নেই, পায়খানা নেই, টিউবওয়েল নেই। রাতে আমাদের বাড়ি থেকে পানি আনতে হয় তাকে। অনেক সময় ছেলের পাগলামি বেড়ে গেলে অন্যের বাড়িতে রাতে থাকতে হয় তাকে। মাঠের মধ্যে খোলামেলা জায়গায় পোকামাকড়ের ভয় তাদের। আমরা দেখি, তাদের খুব কষ্ট। তাদের কষ্টের জীবন আমাদেরও খুব কষ্ট দেয়। মাঝেমধ্যে সাহায্য করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের বেশী কিছু করার সামর্থ্য নেই, আমরাও গরীব। শুনি, শেখ হাসিনা সরকার গরীব মানুষকে অনেক সহযোগিতা করে। কিন্তু অভাগা বৃদ্ধাকে কেউ সহযোগিতা করে না। সরকার তাদের সহযোগিতা করলে তাদের কষ্ট দূর হবে। সরকার তাদের সহযোগিতা করলে আমরা খুবই খুশী হবো। 


স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল করিম বলেন, সে খুবই অসহায় মানুষ। থাকার মতো ঘর নেই, আয় উপার্জনের উৎস নেই। স্থানীয় একটি মাদরাসায় কাজের বিনিময়ে ২০০ টাকা ও দুই কেজি চাল পায়। এদিয়েই তার সংসার চলে। অনেক সময় ক্ষুধার জ্বালায় বা কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে তার সংসার চলে। 


স্থানীয়রা বলেন, রিজিয়া খাতুন খুব দুখী ও অসহায় মানুষ। তার কষ্টে পাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো মানুষ নেই। এলাকার নেতা বা মেম্বার চেয়ারম্যান কেউ তাকে সহযোগিতা করে না। সে ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে সরকারি ভাতা পায় না। সরকারের দায়িত্ব রিজিয়া খাতুনের মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তার মানবেতর জীবনযাপন দেখে আমাদেরও কষ্ট লাগে।


সদকী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, রিজিয়া খাতুনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী তাকে সুবিধার আওয়াতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।
কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, আমরা রিজিয়া খাতুনের খোঁজ নিয়ে দেখবো। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

ইবি থানা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

Next Post

দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১

Related Posts

মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত
স্বদেশ খবর

মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

সাপাহারে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ
স্বদেশ খবর

সাপাহারে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ

কলাপাড়ায় ৬ হাজার কৃষক পেল বীজ ও সার
স্বদেশ খবর

কলাপাড়ায় ৬ হাজার কৃষক পেল বীজ ও সার

Next Post
দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১

দৌলতপুরে পুলিশের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

মির্জাপুরে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কুড়িগ্রামে এনসিপির প্রেস ব্রিফিং

কুড়িগ্রামে এনসিপির প্রেস ব্রিফিং

সাপাহারে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ

সাপাহারে মাদরাসা ছাত্র নিখোঁজ

মনতুরা নামে বাদ্যযন্ত্র বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন অজিৎ হালদার

মনতুরা নামে বাদ্যযন্ত্র বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন অজিৎ হালদার

আর্কাইভ

July 2025
S M T W T F S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
« Jun    

প্রকাশক ও সম্পাদকঃ মোঃ আব্দুল বারী
ইমেইলঃ dtbangla@gmail.com

Mobile No- +88 01710862632
ঢাকা অফিসঃ ৩৩ কাকরাইল (২য় তলা)
ভিআইপি রোড, কাকরাইল ঢাকা -১০০০
প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠানোর ইমেল:
newsdtb@gmail.com
কুষ্টিয়া অফিস: দৈনিক দেশতথ্য
দাদাপুর রোড (মজমপুর)
(কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনের সামনে)
মোবাইল:01716831971

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয় খবর
  • স্বদেশ খবর
  • বিদেশি খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • কৃষি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • ধর্ম
  • আইটির খবর
  • লাইফস্টাইল
    • ভ্রমণ তথ্য
  • সম্পাদকীয়
    • মতামত
  • অন্যান্য
    • প্রাপ্ত বয়ষ্কদের পাতা
    • সাহিত্য ও সংষ্কৃতি
    • স্মৃতিচারণ/স্মরণ
    • ফটো গ্যালারী
  • ই-পেপার

Copyright © 2024 dailydeshtottoh All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist