কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের দুইজন কয়েদী পাঁচ ঘন্টার ব্যবধানে মারা গছেন।কুষ্টিয়া কারাগারের সুপার সুপার আব্দুল বারেক জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আজমল প্রামাণিক (৬০) এবং সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আবুল কালাম (৪০৪)মারা যান।
আজমল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী। আবুল কালাম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজমল বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে কারাগার থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার ১০মিনিটের দিকে তিনি মারা যান।
মাদক মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদী আবুল কালাম শুক্রবার ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকেও একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কয়েদী আজমল কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের শাজাহান আলী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলবন্দি ছিলেন। আবুল কালাম গত ২৮ জুলাই থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে জেলবন্দি হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া কারাগারের দুই বন্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ১১,২০২৩//

Discussion about this post