দেশতথ্য রিপোর্ট:
কুষ্টিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এ প্রদর্শনী মেলার অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানটি বড় পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। মেলায় সেবা ও পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রাণিসম্পদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বড় পর্যায়ের খামারী, ভেটেরিনারি ওষধ কোম্পানী, প্রাণিসম্পদ সেবা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সমূহ। উক্ত প্রদর্শনী মেলায় অংশ নিয়েছিল ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসিডিআই/ভোকা কর্তৃক বাস্তবায়িত ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন এক্টিভিটি।
সংস্থাটি প্রাণিসম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজারজাতকরণ এবং দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংস খাওয়ার গুরুত্ব বিষয়ে তথ্য, সেবা এবং প্রযুক্তি প্রদর্শন ও বিতরণ করেন যা খামারী ও ভোক্তাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরী করতে সক্ষম হয়।
উক্ত ষ্টল থেকে প্রাণিসম্পদ পালনের আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ম্যানুয়াল অটো ইনকিউভিটার, গরুর কৃত্রিম প্রজনন করার তরল নাইট্রোজেন কনটেইনার, মিল্কিং মেশিন, ঘাস কাটার মেশিন, বীজ বপন করার মেশিন, দুধের মান পরিক্ষার যন্ত্রপাতি, ভোটোনারী ঔষধ সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি প্রর্দশন করা হয়।
এছাড়া উচ্চ ফলনশীল ঘাস, সবুজ ঘাস সংরক্ষণ পদ্ধতি, মাটি বিহীন হাইড্রোফনিক ঘাস চাষ, বিভিন্ন ধরনের ঘাসের বীজ ও কাটিং প্রদর্শন করা হয়। উচ্চ ফলনশীল ঘাসের চাষ পদ্ধতি এবং সেইসাথে ঘাসের কাটিং ও বীজের কোথায় পাওয়া যাবে সেই সর্ম্পকে আগত খামারীদের ধারণা প্রদান করেন।
পরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতথি ছিলেন জেলা প্রসাশক এহেতেশাম রেজা । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীলের সভাপতত্বিে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতথি ছিলেন জেলা প্রাণসিম্পদ র্কমর্কতা ডাঃ আল মামুন হোসেন মন্ডল।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এসময় খামারীদের নানান দিকনির্দেশনা প্রদান করে সরকারের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তারা।
এ মেলায় মোট ৩৫ টি স্টল ছিল।স্টলগুলোতে প্রদর্শণ করা হয় দেশী ও শঙ্কর জাতের গাভী, বকনা ও ষাঁড় সেইসাথে ছিল ভেড়া, ছাগল, টার্কি, সোনালী ও দেশী মুরগি, রাজাহাস, চিনাহাস। উক্ত প্রাণি প্রর্দশণী স্টলগুলো থেকে মেলায় আগত উৎসাহী খামারী ও সাধারন মানুষদেরকে প্রাণিসম্পদ পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও তথ্য প্রদান করা হয়।
এছাড়াও মেলার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দুগ্ধজাত পণ্য উদ্যেক্তাদের ষ্টল যেখানে তারা হাজির হয়েছিলেন বেচিত্রপূর্ণ দুধের তৈরী খাদ্য যেমন দই, মাঠা, লাবাং, লাচ্ছি, ছানা ও বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি।
মেলায় উদ্যেক্তাগণ তাদের পণ্য বিক্রির পাশাপাশি দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পণ্য প্রস্তুত প্রযুক্তি প্রদর্শন করেন।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৮ এপ্রিল ২০২৪//