কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে কাটা ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বু্ধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সু্লতান গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর চরে কৃষক জহুরুল ধান চাষ করেছিলেন। আজ বুধবার সকালে পাকা ধান কেটে চরে রেখে এসেছিলেন। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে সেই ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়েছিলেন জহুরুল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাড়ে কৃষক জহুরুলের জরাজীর্ণ টিনের ঘর। ঘরের ছোট্ট বারান্দায় রাখা রয়েছে মরদেহ। উৎসুক জনতা শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন। স্বজনরা আহাজারিতে ভেঙে পড়েছেন।
এ সময় জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, একসাথে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিশাল শব্দ করে ডাক (বজ্রপাত) মারে। আর চাচা এক দিকে আর আমি একদিকে উল্টে পড়ি। পরে ছুটে এসে দেখি চাচার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Discussion about this post